
—ছবি মুক্ত প্রভাত
শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছেন। আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দনে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জি এম ইয়াছিন।
সচিবালয়ে বৈঠক শেষে শাহবাগে এসে তিনি এই ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুন———
> শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জি এম ইয়াছিন বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই তাদের সমস্যা সমাধের আশ্বাস পেয়েছেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাই তারা আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে আন্দোলনরতদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিল আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে। এই প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে— নিবন্ধনধারীদের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সভায় বসবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। প্রতিনিধি দলকে এই আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ বরাদ হোসেন চৌধুরী।
আরো পড়ুন———
> শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধির সুপারিশ, থাকছে পদোন্নতির সুযোগ
> আন্দোলনরত ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত এলো
নিয়োগপ্রত্যাশীদের আট সদস্যের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে যান বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য।
আজ মঙ্গলবার মুক্ত প্রভাতকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক আল মুমিন। আজ দুপুরে শাহবাগ থানা পুলিশের গাড়িতে করে নিবন্ধনধারীদের আট সদস্যের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে যান।
তবে সকাল থেকেই ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীরা রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেন। গতকাল সোমবারও এখানে অবরোধ করেছিলেন নিবন্ধনধারীরা। সড়ক অবরোধের ফলে যানচলাচল বন্ধ হলে লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
আরো পড়ুন———
> শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
> এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধা নিয়ে যা হতে যাচ্ছে
> অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ, কমছে কমিটির ক্ষমতা
> কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়ার সুপারিশ
> পাঠদান নিয়ে শিক্ষকদের প্রতি নির্দেশনা
আন্দোলনকারীরা বলেন, এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭টি নিয়োগ পরীক্ষার সুপারিশ করলেও মাত্র ৫ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। এতে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার যোগ্য ব্যক্তি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
তারা বলেন, অনেক নিবন্ধনধারী একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও শিক্ষক পদে চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ অনেকে আবেদন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন। ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর থেকে নিবন্ধনধারীরা লাগাতার কর্মসূচি দিয়ে আসছেন। কিন্তু এনটিআরসিএর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ হয়নি।