
—ছবি মুক্ত প্রভাত
শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে নতুন একটি সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এই প্রস্তাবে শিক্ষাকে অন্যান্য চাকরি থেকে আলাদা করার পাশপাশি কর্মকর্তারা যাতে চাকরির সর্বোচ্চ গ্রেডে যেতে পারেন সেই বিষয় রয়েছে।
তবে কলেজ ও সমপর্যায়ে সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বাধ্যতামূলকভাবে মৌলিক গবেষণা থাকতে হবে। পিএইচডিধারী অধ্যাপকেরা ওপরের পদে যেতে অগ্রাধিকার পাবেন।
আরো পড়ুন———
> পাঠদান নিয়ে শিক্ষকদের প্রতি নির্দেশনা
> এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধা নিয়ে যা হতে যাচ্ছে
> অধ্যক্ষ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেবে এনটিআরসিএ, কমছে কমিটির ক্ষমতা
গত বুধবার জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেন কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
ক্যাডার বাদ দিয়ে কাজের ধরন অনুযায়ী ১৩ টি সার্ভিসে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশপাশি নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে তিনটি পিএসসি করার সুপারিশও করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস’ নামকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। এই সার্ভিসের জনবল নিয়োগ, পদোন্নতির পরীক্ষা হবে পিএসসির (শিক্ষা) অধীনে।
আরো পড়ুন———
> বদলি প্রক্রিয়ায় বৈষম্যে বেসরকারি শিক্ষকদের অসন্তোষ
> বেরসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচিতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা প্রায় ১৬ হাজার। এই ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতিতে পিছিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা যেতে পারেন সর্বোচ্চ চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত।
কমিশন বলছে, শিক্ষার কর্মকর্তাদের নবম গ্রেড থেকে ১ নম্বর গ্রেড পর্যন্ত পৌঁছানোর সুযোগসহ নিয়মিত পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখতে হবে। পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। অন্তত ৫ শতাংশ অধ্যাপককে জাতীয় বেতন স্কেলের দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। যারা পিইএচডি ডিগ্রিধারী িএবং অধ্যাপক হিসেবে পাঁচ বছর চাকরি করেছেন, তারা দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীত হবেন।
কমিশন তার প্রস্তাবে তুলে ধরেছে— মানসম্মত শিক্ষক তৈরির জন্য সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ে পদোন্নতিতে অন্তত তিনটি মৌলিক গবেষণা এবং অধ্যাপক পদের জন্য অন্তত ৫ টি গবেষণা বাধ্যতামূলক করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রকাশিত হতে হবে।