
—ছবি মুক্ত প্রভাত
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যায়ণ কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) দ্বৈত নীতির পরিবর্তন আসছে। এখন থেকে এনটিআরসিএর মাধ্যমেই প্রধান শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ঘটলে কমবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির।
আরো পড়ুন———
> বদলি প্রক্রিয়ায় বৈষম্যে বেসরকারি শিক্ষকদের অসন্তোষ
> বেরসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচিতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা
> এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ সুবিধা নিয়ে যা হতে যাচ্ছে
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শিক্ষক নিয়োগ এনটিআরসিএর হাতে দেওয়া হলেও অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, প্রধান শিক্ষক,সহকারি প্রধান শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দেওয়া হয়নি।
এনটিআরসিএর চাপ বৃদ্ধি এবং আর্থিকভাবে লাভবান না হওয়ার যুক্তি তুলে ধরে এসব পদে নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি। এতে এককভাবে আধিপত্য বিস্থার করেছেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
তবে মাঝখানে এই কয়েকটি পদের নিয়োগও এনটিআরসিএর কাছে দেওয়ার দাবি তোলা হয়। সেই দাবির বাস্তবায়ন এবার খুব কাছে চলে এসেছে। অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, প্রধান শিক্ষক,সহকারি প্রধান শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা এনটিআরসিএকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক মুক্ত প্রভাতকে এসব নিয়োগের ক্ষমতা এনটিআরসিএর হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
আরো পড়ুন———
> বেরসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচিতে যাচ্ছেন শিক্ষকরা
শিক্ষকরা বলছেন—এসব পদে নিয়োগের ক্ষমতা এনটিআরসিএ পেলে সভাপতির দৌড়াত্য, টাকার লেনদেন এবং অজাচিত মামলার অধ্যায় চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, কয়েকটি পদের নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ৩০ জানুয়ারি থেকে ৭ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএর মতামত জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়েরকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। ওই প্রস্তাবে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, প্রধান শিক্ষক,সহকারি প্রধান শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক ও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থী নির্বাচন ও সুপারিশের সংক্রান্ত বিষয় বিবেচনার জন্য এনটিআরসিএকে প্রস্তাব পাঠানো হলো।
ওই প্রস্তাব অনুযায়ী এনটিআরসিএকে আইন ও একটি নতুন ধারা সংযোজন করতেও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপার, প্রধান শিক্ষক,সহকারি প্রধান শিক্ষক, গ্রন্থাগারিক ও কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ বিধিমালাও প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।