
—ছবি মুক্ত প্রভাত
শিক্ষকদের জন্য সুখবর দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য এই সুখবর দেওয়া হয়েছে।
মূলত শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ মঞ্জুরির অনুদানে টাকা পোতে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে অনুদানের জকন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষক-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন———
> বেতন নিয়ে শিক্ষকদের যে নির্দেশনা দিল মাউশি
> শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
> আন্দোলনরত নিবন্ধনধারীদের দাবি পূরণ হচ্ছে
> বেতন নিয়ে শিক্ষকদের যে নির্দেশনা দিল মাউশি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সৈয়দ মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দুরারোগ্য ব্যাধির জিকিৎসা, দৈব দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসার খরচের জন্য বিশেষ মঞ্জুরির অন ুদান দেওয়া হবে। প্রতিবন্ধী, অসহায়, অস্বচ্ছল ও মেধাবী, অনাগ্রাসর সম্প্রদায়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অনুদোন পেতে অগ্রাধিকার পাবেন।
যেসব শর্তে পাবেন অনুদান
> দেশের সরকা বেসরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স ংযুক্ত/স্বতন্ত্র (অনুদানপ্রাাপ্ত/অনুমোদনবিহীন) এবতেদায়ী মাদরাসা ও স্বীকৃতি প্রাপ্ত/এমপিওভুক্ত সরকারি/বেসরকারি কারিগরি/মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কার, আসবাবপত্র তৈরি, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী বন্ধব প্রতিষ্ঠান গড়ার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ এবং পাঠাগারের উন্নয়ন কাজের জন্য মঞ্জুরির আবেদন করতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকায় অস্বচ্ছল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথচ প্রতিষ্ঠানের লেখাপাড়ার মান ভাল এরূপ প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।
> দেশের সকল সরকারি/বেসরকারি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সংযুক্ত/স্বতন্ত্র (অনুদানপ্রাাপ্ত/অনুমোদনবিহীন) এবতেদায়ী মাদরাসা ও স্বীকৃতি প্রাপ্ত/এমপিওভুক্ত সরকারি/বেসরকারি কারিগরি/মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী তাদের জটির ও ব্যয়বহুল রোগ এবং দুর্ঘটনার জন্য মঞ্জুরির আবেদন করতে পারবেন।
> সরকারি/বেসরকারি কারিগারি এবং মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ, দুর্ঘটনা এবং শিক্ষা ব্যয় নির্বাহের জন্য মঞ্জুরির আবেদন করতে পারবেন। তবে এ বিশেষ মঞ্জুরি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, দরিদ্র মেধাবী ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার প্রধান করা হবে।