
—ছবি মুক্ত প্রভাত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ১৯ জানুয়ারি যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয়েছে। নানা সমালোচনার ওই বিজ্ঞপ্তিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এই তথ্য মুক্ত প্রভাতকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল, সেই বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না।
আরো পড়ুন———
> শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে মাউশির জরুরী নির্দেশন
> শিক্ষকরা রাজনীতি করলে ব্যবস্থা
> শিক্ষকদের জন্য সুখবর দিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর
> শিক্ষকদের বদলি শুরু ২০ জানুয়ারি, চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত
মাউশির জারি করা বিজ্ঞপ্তিটি মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন শাখার পরিচালক অধ্যাপক আবেদ নোমানীর স্বাক্ষরীত ছিল।
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ওই জরুরী নির্দেশনা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলছে— সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো ধরণের অপপ্রচার এবং গুজবে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে, সেই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
অপ্রপচার এবং সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষার্থী জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে এসব বিষয়ে সরকারকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।
দেশের সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন———
> আরো এক লাখ শিক্ষক এই সপ্তাহে ইএফটিতে বেতন পাবেন
> যেসব শর্তে বদলি হতে পারবেন শিক্ষকরা, সবশেষ নীতিমালায় যা আছে
এনিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি এসব নির্দেশনা দিয়ে পত্র জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইয় থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মাউশির নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে— শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মাসিক সমন্বয় সভায় বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা এবং গুজবে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হয়, সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক ও তৎপর থাকার জন্য সিদ্ধান্ত নে ওয়া হয়েছে।
ওই নির্দেশনা মোতাবেক জেলা ও উপজেলার সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমান সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা, গুজব ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
মুক্ত/আরআই