২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

পাঠদানের সময় শিক্ষক-কর্মচারির উপর সভাপতির হামলা, প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা

—প্রতিকী ছবি


কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কয়ার পাড় বীরবিক্রম উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে হট্রগোল হয়েছে। পাঠদানের সময় দলবল নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে শিক্ষক-কর্মচারীর ওপর হামলা চালিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল করিম। এতে তিনজন আহত হয়েছেন।

আরো পড়ুন———

» আগে বদলি পরে গণবিজ্ঞপ্তি

» বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা

» শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে শিক্ষকদের কর্মসূচি শুরু

» বেসরকারি শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাচ্ছেন

» যেসব শর্তে বদলি হতে পারবেন বেসরকারি শিক্ষকরা


এসময় ভাংচুর করা হয়েছে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষের আসবাবপত্র। গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্রাদী-ফাইল তছনছ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে। ঘটনার পর থেকে পাঠদান কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। আতংকিত শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হচ্ছে না।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। অভিভাবক বাদশা মিয়া মুক্ত প্রভাতকে জানান, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুল করিম ও প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই দুই ব্যক্তির দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

অভিভাবক মেহেদি হাসান মুক্ত প্রভাতকে জানান,  তার ছেলে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কিছুদিন পরেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ফলে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় লেখাপড়ায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তীতে বিদ্যালয় খুললেও এখানকার প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভপতির দ্বন্দ্বের কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বিদ্যালয়ের এই সংকট নিরসনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম মুক্ত প্রভাতকে জানান, দলবল নিয়ে বিদ্যালয় চলাকালীন সময় সাবেক সভাপতি তার ওপর হামলা চালিয়েছেন। মারধর, ভাংচুরের পর তার কক্ষেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ওই হামলায় বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী আতাউর রহমান, অফিস সহায়ক আনিছুর রহমান ও ল্যাব সহকারী নাজমুল হক আহত হয়েছেন। চেয়ার, টেবিল ও আলমারি ভাংচুর করে অফিসের গুরত্বপূর্ণ কাগজের ফাইল তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আব্দুল করিমের বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে সাবেক সভাপতি আব্দুল করিম জানান, ‘চারটি পদে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অথচ আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা।’

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তাহের মুক্ত প্রভাত জানান, সাবেক সভাপতি আব্দুল কমিমের সভাপতিত্বেই এক বছর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  অথচ এখন এসে এ ধরণের অভিযোগ করছেন আব্দুল করীম।