বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতিয়করণের দাবি দীর্ঘদিনের। বিভিন্ন সময় বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতিয়করণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি।
বেসরকারি সব শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণ করা, শিক্ষায় যুগপৎ পরিবর্তন ও শিক্ষকদের জীবনমান উন্নয়নের দাবিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি সভাপতি অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া।
আরো পড়ুন———
» বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন নির্দেশনা
» বেসরকারি শিক্ষকরা বদলির সুযোগ পাচ্ছেন
» যেসব শর্তে বদলি হতে পারবেন বেসরকারি শিক্ষকরা
» শিক্ষকরা নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকারের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দশ দফা দাবি পেশ করা হলে তা শিক্ষার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে এবং দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান প্রফেসর তপন কুমার।
বৈঠক উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, অন্যতম নেতা এইচএম সায়েদুজ্জামান সহ অনেকে।
দশ দফা দাবিগুলো হলঃ
১.প্রজ্ঞাপন জারী করে ২০২৩ খ্রীঃ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল ও পাঠ্য বিষয়ের ব্যাপক সংশোধন করতে হবে ।
২. নতুন শিক্ষাক্রমের জন্য রচিত পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির (কাঠামোবদ্ধ প্ৰশ্ন পদ্ধতি) উপযোগী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। উহা দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে হবে।
৩. পূর্ববর্তী সরকারের আমলে দলীয়ভাবে নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক ও সকল পর্যায়ের কর্মচারীর এমপিও'র জন্য আবেদনপত্র ও তাদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৪. সকল বেসরকারি শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের চাকুরী জাতীয়করণ করতে হবে
৫.অধ্যক্ষ/উপাধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক/সহকারী প্রধান শিক্ষকের বর্তমান নিয়োগ বিধি বাতিল করে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ) এর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারী অংশ প্রদান এবং জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা ২০১০ এর মার্চ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত নিয়োগ বিধান চালু করতে হবে।
৬. অবসর সুবিধা/কল্যাণ ট্রাষ্টের ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে।
৭. অবসর সুবিধা/কল্যাণ ট্রাষ্টের কমিটি পুনঃগঠন করতে হবে।
৮. অন্যায়ভাবে বরখাস্তকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকুরীতে পুনর্বহালের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি এবং বকেয়া সহ বেতন-ভাতা প্রদানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ।
৯.ম্যানেজিং ভিডিও গভর্নিং বডিতে পাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
১০.শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ কমিটিতে থানা শিক্ষা অফিসার কে বাদ দিতে হবে।