
হিলি স্থলবন্দর- ছবি মুক্ত প্রভাত
লোকশানের শঙ্কায় গত কয়েকদিন থেকে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ রাখার পর বুধবার (৫ জুলাই) থেকে আবারও আমদানি শুরু করে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। আমদানি শুরু হলেও সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সৃষ্ট বন্যার ফলে সেদেশেও (ভারতে) মরিচ ক্ষেত নষ্ঠ হয়েছে।
ফলে সরবরাহ কম হওয়ায় সেখানেও মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সংকট দেখা দেওয়ায় দাম আকাশ ছোঁয়া। দাম চলে যায় ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাহিরে। কাঁচামরিচের বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আমদানিকরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী বাবলু শেখ জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা হওয়ায় মরিচ ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঁচামরিচের দাম সেদেশেও ওঠা-নামা করছে। দেশের বাজারেও একই অবস্থা। ঈদের ছুটি শেষে গত ৩ জুলাই (সোমবার) থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও লোকশানের শঙ্কায় আমদানি করা হয়নি।
তিনি আরো জানান, যেহেতু সেদেশের বাজারে পণ্যটির দাম বেশী এদিকে দেশেও সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ আমদানিতে ৩২ টাকা ৬০ পয়সা করে শুল্ক দিতে হচ্ছে। এতে আমদানি খরচ বেশী হচ্ছে। এমন অবস্থায় কাঁচামরিচ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করলে আমদানি খরচ কমে আসবে। এর ফলে দেশের বাজারে দাম অনেকটাই কমে আসবে।
হিলি স্থলবন্দরের রয়েল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্ত্বাধিকারী মো. রয়েল জানান, ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি পত্র (আইপি) পেয়েছি। সেদেশে কাঁচামরিচের দাম বেশী। তাই লোকশানের আশঙ্কায় এখন পর্যন্ত আমদানি করা হয়নি। তবে সরকার যদি কাঁচামরিচ আমদানিতে শুল্ক মুক্ত করে দেয় সেক্ষেত্রে আমদানি করে লাভবান হওয়া সম্ভব। তা-না হলে আমদানি করে লোকশানগুনতে হবে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের সহকারি মো. ইউসুফ আলী জানান, হিলি স্থলবন্দরের ১৯ টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৭ হাজার ৫০০ মেট্রিকটন কাঁচামরিচ ও ৫০০ মেট্রিকটন টমেটো আমদানির অনুমতি পত্র (আইপি) পেয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকেই কাঁচামরিচ আমদানি করা শুরু করেছেন।