নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ ওরফে মিঠু ও শিক্ষিকা রিফাত আরার বিরুদ্ধে আপত্তিকর কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে।

প্রধান শিক্ষকের অফিস রূমেই প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ ওরফে মিঠু ও শিক্ষিকা রিফাত আরার অসামাজিক কার্যকলাপের ভিডিও প্রকাশ পায়।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের পক্ষে শেখর আহমেদ গত ৪ই জুলাই মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এঘটনা প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায়, জেলার বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয়টি তিনটি ইউনিয়নের শেষ সীমানায় যমুনার নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় বিদ্যালয়ে তিনটি ইউনিয়ন থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে।

কিন্তু বিগত ১৩ বছর যাবৎ অত্যন্ত নারী লোভী, অবৈধ ক্ষমতা বিস্তারকারী এবং অর্থলোভী প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন এবং বেশ কয়েকবার বিচারের মুখামুখী হয়ে এলাকাবাসীর নিকট মাফ চেয়ে ছিলেন সে।

কিন্তু কিছু অদৃশ্য শক্তির কারণে ছাড় পেয়ে বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. রিফাত আরার সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে অসামাজিক অনৈতিক কার্যকলাপ করে। এ ঘটনা ঘটার পরেও মানেজিং কমিটির নিকট অভিযোগ দেওয়া হলে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

তিনি অভিযোগে আরও বলেন, মানেজিং কমিটিও একটি পুতুল কমিটি বা পকেট কমিটি  হিসেবে রয়েছে। যা বিগত কয়েক বছর যাবৎ অভিভাবকের আশা- আকাঙ্ক্ষার মতে কমিটি গঠন করেনি।

বিদ‍্যালয়ের  শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার্থে  অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ এর সঙ্গে সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ রিফাত আরা এর সঙ্গে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী শেখর আহমেদ বলেন, আমি এলাকার একজন সচেতন মানুষ হিসাবে এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ দেখে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি ওই দুই শিক্ষকের যথাযথ ব্যবস্থা চাই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) মোসা. রিফাত আরা তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ মিথ্যে দাবী করে বলেন, আমি খুব ভালো মানুষ। কে বা কাহারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন।

তবে মুক্ত প্রভাতের কাছে ভিডিওটি রয়েছে। 

এবিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তাই তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগটি এখনো আমার হাতে আসেনি। হাতে এলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।