
লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু- ছবি মুক্ত প্রভাত
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় লাম্পি স্কিন রোগে শত শত গরু আক্রান্ত মারা গেছে ২ টি। গবাদি পশুর ঔষধের দাম বেশি হওয়ায় চিকিৎসা করতে হিম শিম খাচ্ছে অসুস্থ গরুর মালিকেরা।
জানা গেছে, ভাইরাস লাম্পি সংক্রমনে উপজেলার গাবেরতল এলাকার মঞ্জিল মিয়ার এক লক্ষ টাকা মূল্যের একটি ষাঁড় ও মতিয়ের রহমানের একটি বাচুর গরু মারা গেছে।
এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ রয়েছে গাবেরতল এলাকার রাহেনা বেগমের ১ টি, কাচকোল এলাকার বিপ্লব কুমারের ৫টি, পুটিমারী এলাকার তসরুদ্দিনের ৩টি, সোনারী পাড়া এলাকার রহিম আদশার ২টি,খামার এলাকার খলিলুর রহমানের ৭টি গরু সহ উপজেলার শত শত গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। দিন দিন আক্রান্তের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু- ছবি মুক্ত প্রভাত
উপজেলার বিভিন্ন গবাদি পশুর ঔষধের দোকানে এ রোগের ঔষধ কিনতে ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ করা গেছে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রানী সম্পদ কর্মকতা শাহিন-আলম এ রোগের লক্ষন ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানান,বর্ষার শেষে, শরৎ এর শুরুতে অথবা বসন্তের শুরুতে যে সময়ে মশা মাছি অধিক বংশ বিস্তার করে সেই সময়ে এ রোগ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পরতে দেখা যায়।
চিলমারীতে লাম্পি স্কিন রোগে শত শত গরু আক্রান্ত হচ্ছে ”
লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরু প্রথমে জরে আক্রান্ত হয়ে খাবার রুচি কমে যায়।মুখ দিয়ে লালা পড়তে থাকে, পা ফুলে যায়, সামনের দুপায়ের মাঝ স্থানে পানি জমে যায়।
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চামরাতে গুটি গুটি আকার ধারন করে। লোম উঠে যায় এবং ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
চিকিৎসা সেবা হিসেবে তিনি জানান, এন্টি ভাইরাল, প্যারাসিটামল ও ভিটামিন-সি খাওয়ালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নিম পাতার জুস ও গুড় খাওয়ালে অল্প সময়ের মধ্যে আরোগ্য লাভ করে।