
-প্রতিকী ছবি
দশ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে তারই নানা আলাল হোসেনের (৬০) বিরুদ্ধে। শিশুটি এখন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে।
আজ সোমাবার (৩ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়ায় অভিযুক্ত আলালের বাড়িতে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
শিশুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত আলাল হোসেন শিশুটির সম্পর্কে নানা (মায়ের মামা)।
ঘটনার পর পরই শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনা জানাজানি হলে ধর্ষক আলাল হোসেনকে গণধোলাই দেন এলাকাবাসী। একপর্যায়ে আলাল হোসেন পালিয়ে যান। আলালের গ্রেপ্তার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।
ধর্ষক আলাল হোসেন বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মৃত নবাব আলীর ছেলে।
শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে— বেলা ১১ টার দিকে স্থানীয় বাজারে নিজেদের দোকানে সবজি আনতে যায় শিশুটি। পথিমধ্যে আলাল হোসেন শিশুটিকে সিগারেট আনতে বলেন। বাজার নিয়ে ফেরার সময় আলাল হোসেনকে সিগারেট দিতে তার বাড়িতে যায় ওই শিশু। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিশুকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন আলাল হোসেন।
পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষক আলাল হোসেনকে গণপিটুনি দেয় এলাকাবাসী।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনা জানার পরে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা শুনেছি। থানার বাহিরে থাকায় অভিযোগটি দেখিনি। থানায় গিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।