
—ছবি সংগৃহিত
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণপরিষদ নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় এনসিপি নেতাদের বৈঠকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে যমুনা থেকে বেরিয়ে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ উপস্থিত ছিলেন।
অপর দিকে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই সনদের আইন ভিত্তি এবং সাংবিধানিক ভিত্তির জন্য আগামী যে নির্বাচনটি হবে, সে নির্বাচনটি যেন অবশ্যই গণপরিষদ নির্বাচন হয় এবং সে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের দীর্ঘ ৫৫ বা ৫৪ বছরের যে সংকট, যে একক ব্যক্তিকেন্দ্রিক যে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব কিংবা কাঠামো গড়ে উঠেছে, সেটার স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা মনে করি আগামী নির্বাচনটি গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেটা নতুন সংবিধান প্রণয়ন করবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির এই নেতা বলেন, গণ-অভ্যুত্থাসের অংশ নিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের পুনর্বাসন, চিকিৎসা এবং তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হয়নি। সরকারের কাছে শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তারা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সমর্থনে মিছিল করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখানো আটক থাকা ব্যক্তিদের দেশে ফেরাতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে এনসিপি।
এ ছাড়া গুম কমিশনের প্রতিবেদন আমলে সিয়ে রাষ্টীয় যেসব সংস্থার যেসব সদস্য এ ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের বিষয়ে যেন সুস্পষ্ট ব্যবহার গ্রহণ করে, সে বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন এনসিপির নেতারা।
নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা এবং নিরপেক্ষতার বিষয়ে যেন প্রধান উপদেষ্টা ভূমিকা রাখেন, সে বিষয়েও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। এ প্রসঙ্গে আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। যেহেতু রাষ্ট্রীয়ভাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্র স্থগিত করা হয়েছে এবং আমরা দেখতে পাই, জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার জন্য একটা নিষিদ্ধ সংগঠনের বিষয়ে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে।....সে জন্য জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কার্যক্রম যেন স্থগিত করার বিষয়ে সরকার আরও বেশি কার্যকর হয়, সে বিষয়টি আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আমলে নেওয়ার জন্য বলেছি।’