
—ছবি মুক্ত প্রভাত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে প্রথম বর্ষের অধিকারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হঠাৎ আক্রমণাত্মক ওঠেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
আজ সকাল সোয়া দশটার দিকে রাখছোস কোষাধক্ষ্য কার্যালয় সামনে বারান্দায় রাখা একটি চেয়ার ভাঙচুর করেছেন তারা। এ সময় একটি বড় টেবিলও ফেলে দেয়া হয়। পরে সাড়ে দশটার দিকে রাখছো ভবনের ফটোকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে।
রাক্সের কোষাধক্ষ্য নির্বাচনের প্রধান ইতালি কর্মকর্তা সেতাউর রহমান বলেন, 'দশটা থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা ফটো কাটলে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এটি সুষ্ঠু পরিবেশের অন্তরায়। এখন মনোনয়ন বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ আছে। তারা গণতান্ত্রিক উপায় আন্দোলন না করে নেগেটিভ করছে। প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে এই তফসিল বাতিল করতে হবে।
রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা সেতাউর রহমান বলেন, ‘১০টা থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা ফটক আটকে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এটি সুষ্ঠু পরিবেশের অন্তরায়। এখন মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ আছে। তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন না করে নেগেটিভভাবে করছে। প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হলে এই তফসিল বাতিল করতে হবে। নবীনদের এখনো হল সংযুক্তি ও আইডি কার্ড সম্পন্ন হয়নি। এটি সম্পন্ন করতে আরও সময় প্রয়োজন। '
এদিকে বেলা সাড়ে দশটার দিকে ছাত্রদলের কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, রাশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিক্ষকেরা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, রাকসু একটি দলের কাছে দিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এটা হতে দেওয়া হবে না। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীর অবশ্যই রাকসুতে ভোট দেবে। সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্র দলের নেতা কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে রাসুল কোথাকার কার্যালয়ের সামনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার ভোটাধিকারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে চেয়ার ভাঙচুর টেবিল ফেলে দিয়েছেন ছাত্রদলের নেতা কর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা-ছাত্রীদের বেশ কিছুদিন ধরে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অন্য দাবিগুলো নির্বাচন কমিশন মেনে নেয়ার রাজশাহী ছিল প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকারের দাবিতে এর আগেও তারা দুই দিন বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। একই দাবিতে আজ মনোনয়ন ফরম বিতরণের শেষ দিনে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা সকাল থেকে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় সামনে অবস্থান নেন।
রাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে ২৮ টি পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা।
ছাত্রদল সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের ২৩ টি পদে এবং সিলেটের পাঁচটি পদে ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারীদের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সহ-সভাপতি নুরুদ্দিন আবির, জান্নাতুল নাঈম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিন বিশ্বাস, শাহ মোহাম্মদ কাফি, সামাদ মুবিন, দপ্তর সম্পাদক নাফিউল ইসলাম, সহ দপ্তর সম্পাদক সিয়াম বিন আইয়ুব, অধিকার বিষয়ক সম্পাদক রাফায়েতুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক আর রাফি খান, বিজয় ২৪ সালের সভাপতি গাজী ফেরদৌস হাসান ও শেরে বাংলা সভাপতি এম এইচ জেমস।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংসদের ২৩ টি পদে ১৯৯ জন, সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে পাঁচটি পদে ২৬ জন এবং হল সংসদের বিভিন্ন পদের ৩৭০ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
সংগঠনটি সভাপতির সুলতান আহমেদ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথম বর্ষের প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। ভর্তি প্রক্রিয়ায় ক্লাস শুরুর তারিখ বারবার পিছিয়ে দেয়া হয়েছে শুধু নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার থেকে দূরে রাখতে। আমরা লক্ষ্য করছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধীর গতিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম চালাচ্ছে যা স্পষ্ট একটি ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি দাবি করেন, ভোটার তালিকা ছবিসহ প্রকাশ না করে প্রশাসন নির্বাচনকে প্রশাসনে পরিণত করেছে। দূর্গা পূজার দিনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে হিন্দু শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার থেকেও দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। দাবি আদায়ের ছাত্রদলের ইতিমধ্যে স্মারকলিপি প্রধান, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
তিনি বলেন, কোন শিক্ষার্থীর ভোটাধিকার হরণ হলে সেটি রোধ করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। তারা জিরো টলারেন্সে বিশ্বাস করেন। এই রাকসু লোক দেখানো নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য তার।