
—ছবি সংগৃহিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার দিব এত রাতে কয়েকবার স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ক্লাস চলমান থাকবে।
আজ রোববার সকালে এ তথ্যসহ প্রচার্য অধ্যাপক মোঃ কামাল উদ্দিন। উনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের মাধ্যম শাটল ট্রেন নিয়মিত চলবে।
এর আগে গতকাল রাত সকাল ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি দেওয়ার ঘটনা ঘটে।বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী কি মারধরের পরে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সংঘর্ষে অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী আহত হন। পর রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ও ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেটের কাছে একটি ভবনের ভাড়া থাকেন। রাত বারোটার দিকে তিনি সঙ্গে তার তর্ক হয়। একপর্যায়ে ভবনের কারণ তাকে মারধর করেন। সময় দুই নম্বর গেটে থাকা শিক্ষার্থীরা দারোয়ান কে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করি প্রার্থীর মধ্যে শুরু করেন। সংঘর্ষ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয় লোকজন মাইকে ডেকে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেন।
এ ঘটনা অন্তত ৬০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ২১ জনকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা মোঃ আবু তৈয়ব বলেন, হয়তো ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের শরীরের ধারালো অস্ত্র দিয়ে যখন করার চিহ্ন রয়েছে। অন্যদের লাঠিসোটা, কাঠ ইটপাটকেল ইত্যাদি দিয়ে যখম করা হয়েছে।একসঙ্গে এত আহত শিক্ষার্থী আগে দেখেননি তিনি। তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে।