—ছবি সংগৃহিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আপাতত ভারত সফরের পরিকল্পনা নেই। চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠেয় কোয়ার্ক শীর্ষ সম্মেলনে তার যোগদানের কথা ছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমসের অনলাইনে আজ শনিবার প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে এ দাবি করা হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস এর বিশ্লেষণটির নাম 'দ্যা নোবেল প্রাইজ এন্ড এ টেস্টি ফোন কল'-কাপ মোদি রিলেশনশিপ আনরাভেল্ড' (নোবেল পুরস্কার ও এক তিক্ত ফোন কল : ট্রাম্প-মোদি সম্পর্কে যেভাবে অবনতি হলো)।
এই বিশ্লেষণে ট্রাম্পের সফর সূচির বিষয়ে জানাশোনা এমন কর্মকর্তাদের বরাতে বলা হয়, 'ট্রাম্প গত ১৭ জুন ফোনালাপে মোদিকে বলেছিলেন কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসবেন। কিন্তু শরতের ট্রাম্পের ভারত সফরের এই পরিকল্পনা এখন আর নেই '।
নিউ ইয়র্ক টাইমস এর এই দাবির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ভারতের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য করেননি।
প্রতিবছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পরদিন ওয়ার্ড ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সেই বৈঠকেই চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে কোয়াডের শীর্ষ বৈঠকের সিদ্ধান্ত করা হয়েছিল।
কিন্তু গত কয়েক মাসে ওয়াশিংটন সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। নিউ ইয়োর টাইমস এর এই বিশ্লেষণে ট্রাম ও মোদির সম্পর্ক কিভাবে অবনতি হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছিলেন গত মে মাসে ভারত পাকিস্তানের চারদিনের সংবাদ বন্ধু তিনি মধ্যস্থতা করেছেন। পাকিস্তান ট্রাম্পের মধ্যস্থতার কথা স্বীকার করলেও ভারত তা অস্বীকার করে আসছিল
তা সত্ত্বেও গত ১৭ জুন মোদি সঙ্গে ফোনের অপেক্ষায় দাবির পুনরাবৃত্তি করেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস এর দাবি- এতে মোদির ধৈর্যের শ্রুতি ঘটে।
এই ফোন আলাপ এর আগে ওই মাসের কানাডায় অনুষ্ঠিত জি সেভেন এর শিশু সম্মেলনের একফাকে মোদি-ট্রাম্প বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প আগেভাগে দেশে ফিরে তাদের পূর্ব নির্ধারিত সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। মূলত এই নির্ধারিত বৈঠক না হওয়ায় ১৭ জুন তারা ফোনালাপ করেছিলেন। কিন্তু ৩৫ মিনিটের এই ফোনও লাভ দুই নেতার সম্পর্ক ভালো করার পরিবর্তে আরও তিক্ত করেছে।
তবে ওয়াশিংটন নয় দিল্লির সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার পেছনে ভারতের পণ্যের রামপ্রসনের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্কও বড় ভূমিকা রেখেছে। গত বৃহস্পতিবার এই শুল্ক কার্যকর শুরু হয়েছে।
