ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি সংসদীয় আসনের সীমনা পুনর্নিধারণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুনানিকালে ধাক্কাধাক্কি-হাতাহাতি-কিল-ঘুষির পর ব্রাহ্মণবাদিয়ায় পৃথক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে দুই পক্ষ।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানিতে বিএনপির হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

একই সঙ্গে নির্বাচন ভবনে বিএনপির হামলার বিচার না হলে কমিশন পুনর্গঠনের দাবিও জানিয়েছে দলটি।

আজ রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান এনসিপির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, ‘রুমিন ফারহানার নেতৃত্বে ও নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। হামলা ঠেকাতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। রুমিন ফারহানাকে গ্রেপ্তার করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আমরা সিইসি ও অন্যান্য কমিনারদের পদত্যাগ দাবি করবো।’

এ সময় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রুমিন ফারহানা হচ্ছেন বিএনপির আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক। গুন্ডা নির্বাচনকে আমরা ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছি। সন্ত্রাসের রাজনীতি করলে আওয়ামী লীগের মতো রুমিন ফারহানাদেরও ভারতে পাঠানো হবে।’

তিনি আরো বলেন,‘রুমিন ফারহানা দাবি করেন, গত ১৫ বছর তিনি ভালো ছিলেন। অবশ্যই ভালো ছিলেন। কারণ আওয়ামী লীগের সব ধরনের সুবিধা তিনি ভোগ করেছেন। আওয়ামী লীগের পণ্যসামগ্রীর মধ্যে তিনি অন্যতম।’

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ইসি এখন কিছু দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ঢুকতে পুলিশ বাধা দিয়েছে, অথচ বিএনপির কর্মীদের অবাধে প্রবেশ করতে দিয়েছে। আমরা চাই না ডানপন্থি বা বামপন্থি নির্বাচন কমিশন, আমরা চাই বাংলাদেশপন্থি কমিশন।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বর্তমানে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই পুনর্গঠন করতে হবে।’