
—ছবি মুক্ত প্রভাত
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না থাকায় ফসল চাষের জমিগুলো গো-চারণ ভূমিতে পরিনত হয়েছিল, অবশেষে বৃষ্টি হওয়ায় আমন চারা রোপেনে ধুম পড়েছে।
কৃষক বর্তমানে আমনের চারা রোপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমনের চারা প্রস্তুত হলেও ভারী বর্ষনের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে কৃষকদের।
এই এলাকায় রোপা আমনের চাষের উপযুক্ত সময় হলো আষাঢ়ের শেষ থেকে ভাদ্র মাসের মাঝামঝি পর্যন্ত। আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জমিতে পানি না থাকায় চারা রোপন ব্যহত হয়। কয়েক সপ্তাহ টানা খরার পর অবশেষে গত সপ্তহের বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে কৃষক।
এর আগে বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে পানি না থাকায় মাঠে কাজ শুরু করতে পারেন অনেক কৃষক। তবে কয়েক দিনের ভারী বর্ষনে জমিতে পানি জমায় জমি তৈরি করাসহ আমন চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেনÑএ এলাকার কৃষক।
গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, জমি প্রস্তুত করে চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। সময় মত বৃষ্টি হওয়ায় কম খরচে সেচবিহীন আমন ধান চাষের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।
উপজেলার রমনা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, চলতি মৌসুমে এক একর জমিতে স্থানীয় জাতের স্বর্ণা-৫ জাতের আমন ধান রোপন করবো, বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে বৃষ্টি হওয়ায় সেচবিহীন কম খরচে আমন ধানের চারা নির্ধারিত সময়ে রোপন করতে পারছি।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা সুবল রায় বলেন, চলতি বছরে জুলাই মাসে ২৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত—এ এলাকায় হয়েছে। যা স্বাভাবিক বৃষ্টি চেয়ে কম। গড় বৃষ্টির পাত হলো ৪৫০ মিলিমিটার এবং স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের চেয়ে ১৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। আগষ্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।
চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কনক চন্দ্র রায় বলেন, ৬টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ শত হেক্টর জমিতে ইতোপূর্বে রোপন করা হয়েছে।
বৃষ্টি না হওয়ার ফলে শুরুতে অনেকেই আমন চারা রোপন করতে পারেনি। তবে গত সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রোপন শেষ হবে এবং লক্ষ মাত্রা পূরন সম্ভব হবে।