
—ছবি মুক্ত প্রভাত
‘পদ্মা নদীর বাংলাদেশ অংশ ড্রেজিং করা হবে। শুরু করা হবে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দরের কাজ। যাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নদী পথে পণ্য আমদানি রপ্তানী সহজলভ্য হয়। শুক্রবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা নদীতীরের সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর পরিদর্শনে এসে সম্ভাবনাময় এসব কথা বলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ অংশে আমাদের পদ্মা নদী যেটুকু আছে, এটা আমরা ড্রেজিং করতে পারব। একই নদীর কিছু অংশ ভারতের। তাদের অংশ ড্রেজিংয়ের জন্য আমরা অনুরোধ জানাবো। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে পদ্মার পানি প্রবাহ ঠিক হলে যৌথ আলোচনার মাধ্যমে পণ্য আনা নেওয়া করা যাবে। ভারতও তাদের পন্য বিক্রি করতে আগ্রহী হবে।’ তাছাড়া পদ্মার ওপারের ব্যবসায়ীরাও নিজেদের সরকারকে পদ্মার নাব্যতা ফেরানোর ব্যপারে অনুরোধ করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে পদ্মা নদী হয়ে ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানির লক্ষে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষামূলকভাবে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দরটি চালু করা হয়। ফলে ভারতের মায়া নদীবন্দরের সঙ্গে সুলতানগঞ্জের মধ্যে নৌ যোগাযোগ শুরু হয়। পরীক্ষামূলক কিছু পণ্যও আমাদানি রপ্তানি হয়। পদ্মার নব্যতা সংকট এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ার ফলে নদীবন্দরের কার্যক্রম থেমে যায়।
নদীবন্দর চালুর ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। শোনেন নদীবন্দরের সমস্যা এবং সম্ভাবনার কথা।
তিনি বলেন, নৌবন্দরের কার্যক্রম করতে এনবিআরের অনুমোদন দরকার রয়েছে। একই সঙ্গে এটির অবকাঠামো উন্নয়নসহ সড়ক যোগাযোগও প্রয়োজন। এই কার্যক্রমের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জড়িত। সব পক্ষের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেলে অচিরেই নদীবন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
নদীবন্দর পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ।