
—ছবি মুক্ত প্রভাত
বিশ্বে বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবনে পাচারকারীদের হাতে বেশি মরা পড়ছে বাঘ। বাঘ সংর্ষেণে নানা উদ্যোগের মধ্যে গত আড়াই দশকে ২১টি বাঘের স্বাভাবিক মৃৃত্যু হরেও পাচারকারীদের হাতে মারা পড়েছে ২৬টি।
একই সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে ২৪টি বাঘের চামড়া, চারটি মাথার খুরি ও ২৯৬টি হাড়।
পাচারকারীদের হাতে মারা পড়া ছাড়াও সুন্দরবনসংলগ্ন লোকালয়ে এসে গ্রামবাসীর হাতে মারা পড়েছে ১৪টি বাঘ। তকে বাঘ সংরক্ষণে নেওয়া ‘টাইগার অ্যাকশন প্ল্যানে (২০১৮-২০২৭) বলা হয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত লোকালয়ে এসে গ্রামবাসীর হাতে মারা গেছে গড়ে তিনটি বাঘ। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে একটি বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
বন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত আড়াই দশকে সব মিলিয়ে মারা যাওয়া বাঘের সংখ্যা ৬২। ২০২৪ সালে সবশেষ বাঘ জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১২৫, যা আগের জরিপের চেয়ে ১১টি বেশি।
বাঘের চামড়া ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধারের ঘটনায় বন বিভাগ মামলা করলেও অধিকাংশ সময় মামলার ত্রুটির কারণে অভিযুক্তরা বের হয়ে যান। বন বিভাগের হিসাবমতে, গত দেড় শদকে বাঘ হত্যা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধারের ঘটনায় ১৯টি মামলার মধ্যে ১০টির রায় হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি মামলায় আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বাকি চার মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। অন্য ৯টি মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে।