
—ছবি মুক্ত প্রভাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কিন্তু উক্ত দিনে অভিযুক্ত ৪জন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের নিজস্ব কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলো বলে জেলা প্রশাসনকে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মামলাটি দায়ের করে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার তানিয়া জামান (বিজেএন নম্বর: ০২৮১১০০২৫)। ২২ জুলাই ২০২৫ তারিখে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি রুজু করা হয়, যার নম্বর ২৪৮। মামলায় মোট ১৬১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
২৩ জুলাই (বুধবার) ভাইস- চ্যান্সেলরের নির্দেশক্রমে রেজিস্টার মোঃ এনামুজ্জামানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ১৬ জুলাই (বুধবার) কর্মকর্তা-কর্মচারির কর্মস্থলে উপস্থিতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অবহিত করা হয়েছে।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মামলার ক্রমিক নং-৩১, সহকারী রেজিস্ট্রার উজ্জল চৌধুরী (মাহামুদুর রহমান চৌধুরী), কর্মস্থল জনপ্রশাসন শাখা-১, রেজিস্ট্রারের দপ্তর, ১৬ তারিখে সকাল ৯.০০ টায় অফিসে উপস্থিত হন এবং তারিখ ০৩.০০ টা থেকে সন্ধা ৭.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আপগ্রেডেশন সিলেকশন বোর্ড পরিচালনার সহযোগী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মামলার ক্রমিক নং-৩২, সেকশন অফিসার রহমাতুল্লাহ (রেজা) (এইচ এম রহমাতুল্লাহ), কর্মস্থল জনপ্রশাসন শাখা-১, রেজিস্ট্রারের দপ্তর, ১৬ তারিখে সকাল ৯.০০ টায় অফিসে উপস্থিত হন এবং তারিখ ০৩.০০ টা থেকে সন্ধা ৭.০০ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আপগ্রেডেশন সিলেকশন বোর্ড পরিচালনার সহযোগী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মামলার ক্রমিক নং-৯১, সেকশন অফিসার মো: রবিউল ইসলাম, কর্মস্থল রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ১৬ জুলাই সকাল ৯.০০ টায় অফিসে উপস্থিত হয়ে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার ক্রমিক নং-১০৪, ল্যাব টেকনিশিয়ান তরিকুল ইসলাম শিকদার, কর্মস্থল সিএসই বিভাগ, কর্মচারী হাজিরা খাতা অনুসারে ১৬ তারিখে সকাল ৯.০০ টায় অফিসে উপস্থিত হয়ে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মোঃ এনামউজ্জামান বলেন,
আমাদের কর্মকর্তাদের নামে মামলা তারা সেদিন অফিস করেছে।তারা ওইদিন আপগ্রেডেশন সিলেকশন বোর্ডের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দাখিলসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন।
যদিও ফর্মালি কোন কাগজপ্রত্র পাইনি, তবে আমাদের নিজস্ব উপস্থিতি খাতা ও কার্যবিবরণীর ভিত্তিতে আমরা তাদের কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। সেই অনুযায়ী আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়েছি।