
হাতের স্পর্শেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং
দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ এলাকায় হাতের স্পর্শেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দিনাজপুরের হাকিমপুরে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
উপজেলার বাশমুড়িহাট থেকে রিকাবী ও চকচকা হয়ে পালশা পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ১৪ হাজার টাকা। তবে নির্মাণের চারদিনেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
এদিকে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ এনে সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন গ্রামবাসী। তবে শিডিউল অনুযায়ী সড়কের কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সুরুজ আলী। এদিকে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, সড়কটি নির্মাণকাজ পেয়েছে দিনাজপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর এ ট্রেডার্স। এরই মধ্যে কিছু অংশ কার্পেটিং করা হয়েছে।এলাকাবাসী বলেন, চারদিন হলো সড়কে কার্পেটিং করা হয়েছে।
এর মধ্যেই পিচসহ কার্পেটিং এমনিতেই উঠে যাচ্ছে। যতটুকু কার্পেটিং করা হয়েছে, এর মধ্যে অনেক স্থানে পিচ উঠে যাচ্ছে। এজন্য গ্রামবাসী কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা শাহদত হোসেন জানান, “সড়কের পাশে পুকুর রয়েছে, সেখানে গাইডওয়াল দেয়ার কথা ছিল। পানি নিষ্কাশনের জন্য তিনটি ড্রেনের কথাও রয়েছে। কিন্তু সেগুলোর কোনো কাজ ঠিকাদার করেননি। নতুন ড্রেন নির্মাণ না করে পুরনো ড্রেনের ওপর সিমেন্ট দেয়া হয়েছে। গাইডওয়াল নির্মাণ না করায় ছয় মাস না যেতেই সড়ক ভেঙে যাবে।
ঠিকাদার সুরুজ আলী বলেন, এক বছরের মধ্যে যদি সড়কের কার্পেটিং উঠে যায় তাহলে নতুন করে সড়কটি নির্মাণ করার নিয়ম রয়েছে, এর পরই কর্তৃপক্ষ বিল দেবে। বর্তমানে ৩৪-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তাপমাত্রার কারণে পিচ গলবেই।”
পুকুরসংলগ্ন সড়কের পাশে গাইডওয়াল নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এলজিইডি অফিস থেকে গাইডওয়ালের স্টিমেট ঢাকায় পাঠিয়েছিল, কিন্তু সেখান থেকে কেটে দিয়েছে। স্টিমেট থেকে বাতিল করলে আমাদের তো কিছু বলার নেই। স্টিমেট এ যে তিন স্থানে গাইডওয়াল করার কথা ছিল আমি সেসব স্থানে করে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে হাকিমপুর উপজেলা প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, কাজ মানসম্পন্ন ও শিডিউল মোতাবেক হচ্ছে। বিটুমিনের পরিমাণ ঠিকমতো আছে কিনা সেটি জানতে হলে ল্যাবরেটরি টেস্ট করতে হবে। আমরা কার্পেটিংয়ের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য দিনাজপুরে পাঠাব। রিপোর্ট পেলে বলা যাবে বিটুমিন ঠিক ছিল কিনা।