-1687001665.jpg)
গুরুদাসপুরের বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে বস্তাভর্তি বোমা সাদৃশ্য বস্তু
প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো ঝুড়িতে যে— শক্তিশালী বোমা পাওয়া গেছে, তা এসেছিল কলেজ অধ্যক্ষের নামে। অধ্যক্ষের ঠিকানা লেখা বস্তাটি গুরুদাসপুর পৌর শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে পাওয়া যায়।
পরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এসব তাজা বোমা নিস্ক্রীয় করার জন্য র্যাবের ঢাকা ইউনিটের বোমা নিস্ক্রীয়কারী দলকে খবর দেওয়া হয়। রাত ৮টা পর্যন্ত বোমা নিস্ক্রীয় করা হয়নি।
এরআগে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে বিশেষ বার্তা সম্বলিত একটি সাদা রঙের বস্তা পাওয়া যায়। বস্তাটিকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে উৎসুখ মানুষ ভিড় জমাতে থাকে। ছড়িয়ে পড়ে আতংক।
অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সাইদ সকালে বস্তাটি দেখে পুলিশে খবর দেন। দুপুর পর্যন্ত পুলিশি পাহাড়ায় থাকে ওই বস্তাটি। দুপুর তিনটার দিকে র্যাব-৫ এর বোমা নিস্ক্রীয়কারী দল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পার্সেলের বস্তায় শক্তিশালী বোমা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
র্যাব-৫ এর (রাজশাহী) বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের প্রধান লেন্স করপোরাল লাবলু খন্দকার বলেন, অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে আমের যে-বস্তাটি পাওয়া গেছে, তাতে শক্তিশালী বোমা রয়েছে। তাদের বোমা নিস্ক্রীয়কারী দলটি সার্কিট ডিটেকটরের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। শক্তিশালী বোমা নিস্ক্রীয় করতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন যন্ত্রপাতি ও বোমা বিশেষজ্ঞ আনতে দুপুরেই ঢাকা র্যাবের সদর দপ্তরে খবর পাঠানো হয়।
পুলিশ ও র্যাব সূত্র জানিয়েছে, অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের দরজার সামনে সাদা রঙের একটি বস্তা পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল— ‘আমরুপালী ৩০ কেজি। প্রাপক প্রিন্সিপাল, বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর নাটোর। তাতে অধ্যক্ষের মোবাইল নম্বরও লেখা ছিল।’ খবর পেয়ে সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয় বোমা ভর্তি বস্তা।
অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সাইদ জানান, শনিবার সকালে অফিস কক্ষের সামনে গিয়ে তিনি বিশেষ বার্তা সম্বলিত একটি বস্তা দেখতে পান। বস্তায় গায়ে লেখা থাকায় বিষয়টি তার সন্দেহ হয়। পরে তিনি পুলিশে খবর দেন।
তিনি বলেন, কলেজ নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে মামলা চলছে। কিছুদিন আগে বোমা মেরে কলেজটি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষের লোকজন। মূলত সে কারণেই তার অফিস কক্ষের সামনে আমের বস্তায় বোমা রেখে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান জানান, সকালে অধ্যক্ষ কাছ থেকে খবর পেয়ে কলেজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শনিবার দুপুরে র্যাব-৫ এর বোমা নিস্ক্রীয়কারী দল বস্তায় রাখা বোমা শনাক্ত করে।
তিনি বলেন, বস্তায় পাওয়া বোমা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় র্যাবের দলটি তা নিস্ক্রীয় করতে পারেনি। ফলে ঢাকায় র্যাবের বোমা নিস্ক্রীয়কারী দলকে জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে ১২ জুলাই গুরুদাসপুর উত্তরনাড়িবাড়ি মোড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় চারটি তাজা বোমা পাওয়া যায়। পরে ঢাকা থেকে আসা র্যাবের বোমা নিস্ক্রীয়কারী দল তা নিস্ক্রীয় করে।