
মির্জাগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ
মির্জাগঞ্জের পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মো: শামিম মোল্লার ছেলে মো: রায়হান মোল্লা (১৭) কে হত্যার উদ্দেশ্যে সঙ্গবদ্ধ হামলা করে । সে সুবিদখালী সরকারি কলেজের ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র।সরেজমিনে গিয়ে ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রায়হান মোল্লা (১৭) ও হামলাকারীরা একই গ্রামের বাসিন্দা।
জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার বাবাকে বিভিন্ন সময় প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছে । ঘটনার দিন মো: শামিম মোল্লা ঘরের সামনে বসে থাকলে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
সে তাদের ভয়ে ঘরের দরজা আটকিয়ে ভিতরে বসে থাকলে তাকে বের করার জন্য ১/মো: জুয়েল (২৫) ২/সোহেল (২২) পিতা: জামাল ৩/জামাল(৫০) পিতা: আয়জদ্দি ৪/কামাল (৪৫) আরো অজ্ঞাত ১৫ /২০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ঘরের দরজা, জানালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তার গরু বিক্রিত ৮০ হাজার টাকা, ৮ আনা ওজনের সোনার চেইন নিয়ে যায়।
এতে বাধা দিলে তার স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তার ছেলে রায়হান মোল্লা সুবিদখালী গার্লস স্কুলমাঠে ফুটবল খেলা দেখে বাড়ির কাছে আসলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার নাক, চোখ, কপালে, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন যায়গায় আঘাত করলে রক্তে জামা কাপড় ভিজে যায়।
তাদের ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে কোন মতে প্রান বাঁচায়। এর পরেও তারা ঘরের মধ্যে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে যেন তারা চিকিৎসার জন্য হাস্পাতালে যেতে না পারে। জীবন রক্ষায় ৯৯৯ কল দিলে মির্জাগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ আসলে জুয়েল ও সোহেল সহ সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে গেলে তাকে অসুস্থ অবস্থায় সুবিদখালী সাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, জুয়েল ও সোহেল এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এ ব্যাপারে গত ২৩/৬/২৫ তারিখে মির্জাগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন ।
স্থানীয়রা তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না। তারা এই ন্যাক্কারজনক হামলার সুষ্ঠ বিচার চান।শামিম মোল্লা বলেন, এখনো তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। যে কোন সময় তারা আমার, আমার বরিবারের ক্ষতিসাধন করতে পারে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।