
—ছবি মুক্ত প্রভাত
নতুন শিক্ষাক্রম চালু করতে যাচ্ছে সরকার। পরিমার্জিত এই শিক্ষাক্রমে প্রথম বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে তা চালু করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নতুন বা পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চালু করা হবে।
তবে নতুন কারিকুলাম প্রণয়নের বিষয়টি একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। দেশে রাজনৈতিক সরকার না থাকায় কারিকুলামে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বা কোন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে তা নিয়েও এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. সাহতাব উদ্দিন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম যাচাই বাছাই করে নতুন কারিকুলাম তৈরি করা হবে। নতুন কারিকুলামে পাঠদান শুরু হবে ২০২৭ সালে।
প্রথমে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ও পরে ক্রমে অন্য শ্রেণিতে এই কারিকুলাম চালু করা হবে।
নতুন কারিকুলাম তৈরি নিয়ে নানান অ্যাসেসমেন্ট চলমান রয়েছে। চলতি মাসে কারিকুলাম বিষয়ে একটি কর্মশালা হওয়ার কথা ছিল। সেটি পিছিয়ে আগামী জুলাইয়ে করা হবে বলে জানা গেছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যস্তক বোর্ডের কর্মকর্তা বলছেন, আগামী বছরে রাজনৈতিক সরকারের অধীনেই এ কারিকুলামের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। সরকারের প্রত্যাশা ও নির্দেশনার ওপর নির্ভর করবে শিক্ষা কারিকুলামের অনেক কিছুই।
এনসিটিবি সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন কারিকুলামে অভিজ্ঞতালব্ধ, জ্ঞাননির্ভর ও বাস্তবসম্মত পাঠদান করা হবে। তবে ঠিক কী পদ্ধতীতে পাঠদান বা মূল্যায়ন কা হবে সে ব্যপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো।
জানাগেছে, নতুন কারিকুলামের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে নানান অ্যাসেসমেন্ট চলছে। চলতি মাসে এ নিয়ে একটি কর্মশালা ডেকেছিল এনসিটিবি। তবে নানা কারণে এ কর্মশালা করা সম্ভব হয়নি। আগামী জুলাইয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত।
এনসিটিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ২০২৩ সালে যে শিক্ষা কারিকুলাম চালু হয়েছিল সেটি নিয়ে বির্তক থাকলেও কিছু বিষয় ছিল যা ছিল সময়োপযোগী। তাই কারিকুলামে ২০২৩ সালে কারিকুলাম ও ২০১২ সালের কারিকুলামের নানা বিষয়ও থাকতে পারে। তবে ২০২৭ সালে চালু হওয়া কারিকুলামের চরিত্র নির্ভর করবে সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত রাজনৈতিক সরকারের প্রত্যামার ওপর।