
—ছবি মুক্ত প্রভাত
ভারত থেকে আমদানিকৃত চাল, ডাল ও দেশি ধান মজুত করার অপরাধে দিনাজপুরের হিলি বন্দরের মেসার্স মাইক্রো গ্রীন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা খাদ্য বিভাগ। অভিযানে জব্দ করা হয়েছে গুদাম থেকে ৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার চাল-ডাল ও ধান।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ সোহেল আহমেদ বাদী হয়ে খাদ্যশস্য অবৈধ ভাবে মজুদের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হাকিমপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স মাইক্রো গ্রীন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবদুল হাকিম মণ্ডল ও প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার হুমায়ুন কবির।
আব্দুল হাকিম মন্ডল জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালপুর মহল্লার বাসিন্দা এবং ম্যানেজার হুমায়ুন কবির হাকিমপুর পৌর সভার উত্তর বাসুদেবপুর মহল্লার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ সোহেল আহমেদ গোপন সংবাদে জানতে পারে য়ে বন্দরের হাকিম মন্ডলের তিনটি গুদামে অবৈধ ধান ও চাল মজুত রয়েছে এমন সংবাদের সত্যতা প্রমাণ করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায়ের নেতৃত্বে গুগাম কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপি অভিযান চালায়।
এসময় গুদামে মেয়াদোত্তীর্ণ ভারত থেকে আমদানিকৃত ৫ হাজার ২৫৮ বস্তায় ১৪৯ দশমিক ৭৭৬ মেট্রিকটন সেদ্ধ চাল, ৬৭০টি বস্তায় ৩২ দশমিক ৮৩০ মেট্রিকটন মসুর ডাল এবং ১৮ হাজার ১৯৪টি বস্তায় ১১৫৫ দশমিক ৭৭৯ মেট্রিকটন ধান জব্দ করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৭ হাজার ২৪৮ টাকা টাকা।
এ ব্যাপারে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ এর ৪ ধারায় হাকিমপুর থানায় মামলা করেন এই খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। হাকিমপুর থানার মামলা নং ২৫।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাজমুল হক বলেন, গুদামে অবৈধভাবে চাল-ডাল ও ধান মজুত করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ম্যানেজারের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বিষয়টি পর্যালোচনা করে মামলা রুজু করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ সোহেল আহমেদ। আসামিদের গ্রেপ্তার সহ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।