রাজশাহী'র বাগমারার উপজেলার নিমাই বিলে কৃষি জমিতে জোরপূর্বক ও অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২১ জুন)-বেলা ১১টা ১০ মিনিট থেকে ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর গণকপাড়া অংশু বুক ক্যাফেতে রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম ও সবুজ সংহতির রাজশাহী মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নদী ও পরিবেশ গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী (সবুজ সংহতি), মোঃ আমজাদ হোসেন (প্রভাষক, মোহনপুর কলেজ ও আহ্বায়ক, রাষ্ট্র সংস্কার কৃষক আন্দোলন) এবং মোঃ আতিকুর রহমান আতিক (সাধারণ সম্পাদক, ইয়্যাস ও যুগ্ম সম্পাদক, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম) সহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।

লিখিত বক্তব্যে বক্তারা জানান, ২০১০ সালের বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ১৫(১) ধারা অনুযায়ী ফসলি জমিতে পুকুর খনন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু আইনকে উপেক্ষা করে একটি প্রভাবশালী মহল স্কেভেটার মেশিন ব্যবহার করে জোরপূর্বক কৃষকের আবাদি জমিতে পুকুর খনন করছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বরং পুকুর খননের বিরোধিতা করায় ভুক্তভোগী কৃষকদের হুমকি ও প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।বক্তারা আরও জানান, ঈদুল আজহার ছুটিকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে ৭টি স্কেভেটার মেশিন দিয়ে দিনরাত পুকুর খননের কাজ চলছে।

বিষয়টি বন্ধে বিভিন্ন সংগঠন মানববন্ধন ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করলেও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ও আয়োজক সংগঠনসমূহ নিম্নোক্ত ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।

১. অবিলম্বে কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করে চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. পুকুর খননে সহায়তাকারী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. কৃষকদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করে দ্রুত তা পরিশোধ করতে হবে।
৪. সমগ্র ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. রাজশাহীর অন্যান্য উপজেলায় চলমান পুকুর খননের কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

বক্তারা পরিবেশ ও কৃষির সুরক্ষায় দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেন।