
—ছবি সংগৃহিত
গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মেদ আলী মোল্লাকে (৪৫) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানী ঢাকার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তারকৃত এই নেতাকে বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রাখা হয়েছে। বুধবার রাতে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আহম্মেদ আলীকে ঢাকাতেই গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। ওই নেতার বিরুদ্ধে ঢাকায় মামলা রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার আহম্মেদ আলীকে আদালতে তোলা হবে। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাটোর জেলায় কোনো মামলা রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখছেন তিনি।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, আহম্মেদ আলী মোল্লা একসময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সেসময় তিনি বাদি হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন। বর্তমানে তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্বে আছেন। এছাড়া গত উপজেলা নির্বাচনে গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি ঢাকায় আত্মগোপন করেন।
নাটোরের পুলিশ সুপার বলেন, রাজধানীর একটি মামলার আসামী থাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে আহম্মেদ আলীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সেখানকার পুলিশ। আহম্মেদ আলীর বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে তা তিনি তাৎক্ষণিক জানাতে পারছেন না।
তবে আহম্মেদ আলীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী বলেন, সরকার পতনের পর থেকে দেশজুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে হামলা-মামলা করা হচ্ছে। আহম্মেদ আলীও সেই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে আহম্মেদ আলীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।