
—ছবি মুক্ত প্রভাত
শিক্ষার্থীরা ভিসির নিকট স্মারকলিপি প্রদান করে ও ক্যাম্পাস অবকাঠামোগত সংকট ও উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে শিক্ষার্থীরা নিম্নোক্ত দাবিগুলো উল্লেখ করেন-
আমরা সকলেই অবগত আছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান এবং অবকাঠামোগত সংকট শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য অর্জনের প্রধান বাঁধা।
ইউজিসির তথ্য মতে আবাসন সংকটের দিক থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সারিতে। শিক্ষক সংকটের দিক থেকেও একই অবস্থা। প্রত্যেকটা বিভাগেরই ক্লাসরুম, ল্যাব সংকট। এমনকি অধিকাংশ বিভাগে ল্যাব এসিস্ট্যান্ট পর্যন্ত নেই।
ইউজিসি নির্দেশিত কাঠামোগত আবশ্যকতায় অনুষদভিত্তিক ভবন, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম-ল্যাব, পর্যাপ্ত হল, জিমনেশিয়াম, অডিটোরিয়াম ও কনফারেন্স হল, রিসার্চ সেন্টার, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, সংগঠন অফিস ইত্যাদির উল্লেখ থাকলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেসবের কিছুই নেই।
কৃষি অনুষদের জন্য কৃষি পরিক্ষামূলক চাষ উপযোগী জমি, হ্যাচারী, ডেইরি ফার্ম ইত্যাদি অনুপস্থিত। লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া সহ যা আছে তা অবকাঠামোগত এবং মানের দিক থেকেও খুব নিচু মানের।
এতো অপ্রতুলতার মধ্যেও বিগত দিনের চরম দূর্নীতি আমাদের ভীষনভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে- এ বিষয়ে আমরা অবগত। তারপরও এবারের প্রস্তাবিত বরাদ্দ আমাদের চরমভাবে হতাশ করেছে, যা পক্ষপাতদুষ্ট বলেই আমরা মনে করছি।
এমতাবস্থায় নিম্নোক্ত দাবীসমূহ পূরণে ০৩ কার্যদিবসের মধ্যেই কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে অথবা শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়ালে আমরা চিরকৃতজ্ঞ থাকবো। ইউজিসি ঘেরাও করে হলেও আমরা আমাদের দাবীসমূহ বাস্তবায়ন করবো।
১. অসমাপ্ত কাজসমূহ দ্রুত শেষ করতে হবে। ন্যূনতম ১০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ, একাডেমিক-০২ বিল্ডিং এবং ফ্যাকাল্টি বিল্ডিংএ সম্প্রসারণ, শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন সংকট নিরসনে পর্যাপ্ত হল নির্মান, টিএসসি, অডিটোরিয়াম, জিমনেশিয়াম তৈরীর কাজ শুরু এবং ক্যাফেটেরিয়া, লাইব্রেরীর, মেডিকেল সেন্টার উন্নয়নে অতিদ্রুত দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। হল নির্মানের কাজ সমাপ্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দিতে হবে। সমস্ত কাজের টেন্ডার সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
২. প্রত্যেক বিভাগে ন্যূনতম ২০ জন কর্মরত শিক্ষক, পর্যাপ্ত ল্যাব এবং অফিস এসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিতে হবে। পর্যাপ্ত শিক্ষকের জন্য উচ্চ শিক্ষায় বিদেশ গমনের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে টিচিং এসিস্ট্যান্ট নিয়োগ দিতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের সকল তথ্য, রেজাল্ট, লেনদেন অনলাইন ভিত্তিক করতে হবে। ডিজিটাল লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৪. বিগত সময়ের দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ এবং লুট হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরবর্তী বাজেট বন্টনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের বাজেট বন্টনে সংশ্লিষ্ট করতে হবে। সকল তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
০৫. দ্রুত সময়ে সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। ছাত্র সংসদ ঘোষণা করতে হবে। রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি যুক্ত করতে হবে। ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।