
—ছবি সংগৃহিত
দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এই নির্দেশনা জারি করেছে।
মূলত দেশের বিভিন্ন এলাকায় করোনা আক্তান্তের সংখ্যা ক্রেমেই বাড়ছে। করোনার নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়েছে ভারতেও। তাই বাংলাদেশজুড়ে জরুরী সতর্কতা জারি করেছে সরকার।
তারই আলোকে করোনার সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাউশি ৫টি নির্দেশনা জারি করেছে।
মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশনা অনুসরণ প্রতিপালনের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
কোভিড ১৯ প্রটোকল অনুসরণ বাধ্যতামূলকে
এই কর্মকর্তা বলেন, কোভিড ১৯ এর নতুন সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী- দিনে অন্তত ৭ বার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড)। নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন।
আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না। হাঁচি বা কাশির সময় বাহু, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
তিনি আরো বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সব প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাই এই নির্দেশনা মেনে চলবেন শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এরআগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সতর্কতা জারি করে। ওই সতর্কতায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি পাশের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিশেষ করে অমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ হতে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশ ভ্রমণরত নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল নৌ ও বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কগুলো সার্ভেল্যান্স জোরদার এবং রিস্ক কমুনিকেশন কার্যক্রম জোরদারকল্পে সচেতনতামূলক এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হলো।
সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো হলো
বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোবেন (অন্তত ২৩ সেকেন্ড। নাক মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না। হাঁচি-কাশির সময় বাহু, টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন।
দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরগুলোতে আইএইচআর স্বাস্থ্য ডেস্কে সর্তক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করুন। দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে থার্মাল স্ক্যানার, ডিজিটাল হেন্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করুন।
চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান মাস্ক, গ্লোভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুদ করুন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও অন্যন্য আক্রান্ত দেশগুলো ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন।
সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয়
অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটসটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
রোগীর নাক, মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রয়োজন হলে আইইডিসিআর এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করুন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)।