
উল্লাপাড়ায় হোটেল কর্মী খুন
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আরাফাত হোসেন (৩৬) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ইট বা ভারী ধাতব বস্তু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে খুন করা হয় বলে পুলিশের ধারণা। আরাফাত পাবনা জেলার ফরিদপুর পৌর সভার মৃত হানিফ খাঁ’র ছেলে। সলঙ্গা থানা পুলিশ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
আরাফাতের স্ত্রী শাপলা খাতুন জানান, তিনি এবং তার স্বামী কয়েক বছর ধরে হাটিকুমরুল এলাকায় বিভিন্ন হোটেলের কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। তারা হাটিকুমরুলের পাশে রাধানগর গ্রামে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। তারা নিঃসন্তান। হাটিকুমরুলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ ইন্টারচেঞ্জ কার্যক্রম শুরু করেছে। ফলে বেশ কয়েকটি হোটেল ও স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।
এতে কাজ হারান তারা। ঘটনার রাত (২২ মে) ৯টার দিকে আরাফাত বিড়ি কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে হাটিকুমরুল বাজারের দিকে যান। কিন্তু রাতে আর তিনি বাড়ি ফিরেননি। শুক্রবার সকালে শাপলা খবর পান তার স্বামীর মরদেহ হাটিকুমরুল গোল চত্বর সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউজের পাশের খালে পড়ে আছে।
এরপর তিনি সলঙ্গা থানা পুলিশকে জানান। শাপলা খাতুন আরও জানান, তার স্বামীর কোন শত্রু ছিলনা বলে তিনি মনে করেন। তারপরেও এমন নৃশংসভাবে কারা তাকে হত্যা করেছে তিনি বুঝতে পারছেন না।
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক পুলক কুমার জানান, পুলিশ বেলা ১১ টার দিকে কথিত রেস্ট হাউজের পাশের খাল থেকে আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। আরাফাতের মাথায় ইট বা ভারী ধাতব বস্তু দিয়ে আঘাত করে থেতলে দেওয়া হয়েছে।
এতে আরাফাতকে সনাক্ত করা কঠিন। পরে আরাফাতের স্ত্রী তার স্বামীকে সনাক্ত করেছেন। আরাফাতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহিদ এম মনসুর আলী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শাপলা খাতুন এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।