
—ছবি মুক্ত প্রভাত
আগের ম্যাচে ৩৩২ রান তারা করতে নেমে ৩২২ রানে থেমেছিল বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরিও হয়েছিল বাংলাদেশের পক্ষে। দ্বিতীয় ম্যাচ হারলেও প্রথমটি আবার বাংলাদেশেই জিতেছিল। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ জয়ের জন্য তৃতীয় ম্যাচের অপেক্ষা করতে হয়েছিল আকবর আলীদের। সেই অপেক্ষা শেষ হলো।
রাজশাহীতে বাংলাদেশ ইমার্জিংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিংয়ের ম্যাচটিতে আজ কম রানেই হয়েছে। টস জিতে বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিং করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২২৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ ৪৫.৫ ওভারে। তবে সেই রান তাড়া করতে নেমে সফরকারীরাও নিয়মিত উইকেট হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা করতে পারে ১৯১ রান। বাংলাদেশ জিতে যায় ৩৪ রানে। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ ঘরে তুললেন আকবর আলীরা।
গত ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা জিসান আলমকে এই ম্যাচে রাখা হয়নি। তার জায়গায় ওপেনিং করেন চৌধরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি ৬ বল খেলে ০ রানে আউট হন। তার সঙ্গে ব্যাট করতে নামা আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ৪৮ বলে করেন ২৬ রান। শুক্রবারের ম্যাচে পরের ব্যাটসম্যানরা রান ঘরায় ভুগেছেন। তবে গত ম্যাচে সেঞ্চুরী করা আবকর আলীও এই ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি। ৫১ বলে তিনি করেন ৩৮ রান।
বাংলাদেশ আজকে ম্যাচে নবম উইকেটে একটিই—জুটি গড়েন মাহফিজুর রহমান ও রাকিবুল হাসান। রানের খাতায় এই জুটি যোগ করে ৮৪ রান। দলের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান মাহফিজুুর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭৭ বলে ৫৮ রান করে আউটন হন। তার আগেই ৪০ বলে ৪২ রান করে রাকিবুল সাজঘরে ফেরেন।
বাংলাদেশে করা ২২৫ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরাও সুবিধা করতে পারেননি। বাংলাদেশের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন তারা। ব্যাট হাতে ৪২ রান করা রাকিবুল বল হাতেও জ্বলে উঠেন। স্পিন বল করে দাপট দেখান দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ওপর। তিনি ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৪ উেইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের কেউই ৫০ রান করতে পারেননি। টিয়ান মিচেল ভেন ভারেন করেন ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান। ৪৭ বলে ৩৭ রান করেন নকোবানি হ্যান্ডস্যাম।
ম্যাচটিতে রাকিবুল ছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট তুলে নেন মাফফিজুর রহমান ও ওয়াসী সিদ্দিকী।