
—ছবি মুক্ত প্রভাত
সোমবার বিকেলে উল্লাপাড়ার বড়গোজা গ্রামের পাশে গাড়াদহ নদীর ঢাল থেকে মারুফ হোসেন (১৩) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে সলংগা থানা পুলিশ।
মারুফ উল্লাপাড়া উপজেলার জগজীবনপুর গ্রামের মামুন প্রামানিকের ছেলে। ছোটবেলায় মা মারা যাওয়ায় নানার বাড়ি থেকেই মারুফ সলংগা মাছের আড়তে কাজ করতো। সোমবার সকালে সে নানা বাড়ি থেকে কাজের জন্য বের হয়ে যায়।
মারুফের নানা জিল্লুর রহমান জানান, মারুফের শিশুবেলায় তার মা মারা যায়। এরপর বাবা অন্যত্র চলে যায়। ছেলের কোন খোঁজ খবর নিতো না সে। ছেলেটি অনেকটা এতিম হয়ে পড়ায় তিনি তাকে বাড়িতে এনে প্রতিপালন করেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে মাছের আড়তে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। অবশেষে বিকেলে স্থানীয় লোকজনের নিকট থেকে তিনি জানতে পারেন পার্শ্ববর্তী গাড়াদহ নদীর ঢালে কদম আলীর বাড়ির পাশে মারুফের লাশ পড়ে আছে। পরে সলংগা থানা পুলিশকে খবর দিলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তারা মারুফের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মারুফ কিভাবে মারা গেল তিনি এখনও বুঝতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে সলংগা থানার উপ পরিদর্শক ব্রজেশ্বর বর্মণ জানান, পুলিশ মারুফের লাশ উদ্ধার করে বিকেলে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মারুফের ডান হাতের মাঝামাঝি জায়গায় একটি পোড়া দাগ রয়েছে। তবে তার শরীরের আর কোথাও কোন চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মারুফের মৃত্যুর কারন সম্পর্কে তারা কিছু বলতে পারছেন না। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।