
—ছবি সংগৃহিত
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্যবিয়ষক সংস্কার কমিশন। আজ সোমবার বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের কাছে কমিশন এই প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে মোটাদাগে ৩২টি সুপারিশ করা হয়েছে।
কশিমনের মুখ্য সুপারিশে সংবিধান সংশোধন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি পৃথক ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে, যা বিনা মূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ব্যপারে নাগরিকদের অধিকার ও রাষ্ট্রের কর্তব্য নির্ধারণ করবে। স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘ মেয়াদে ন্যায্যতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে।
কমিশন বেশ কিছু আইন সংস্কার ও নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে। সুপারিশে বলা হয়, সব সংশ্লিষ্ট পুরোনো আইন পর্যালোচনা করে যুগোপযোগী করতে হবে। এছাড়া রোগী সুরক্ষা, আর্থিক বরাদ্দ, জবাবদিহি ও জরুরি অবস্থায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে কিছু নতুন আইন প্রণয়ন করতে হবে। কমিশন প্রস্তাবিত একটি আইনগুলো হলো বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন, বাংলদেশ হেলথ সার্ভিস আইন, অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল কাউন্সিল আইন, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক অ্যাক্রেডিটেশন আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন, নারী স্বাস্থ্য আইন, ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ আইন, শিশু বিকাশ কেন্দ্র আইন, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ও স্বাস্থ্য খাতে টেকসই অর্থায়ন আইন।
এছাড়া নিম্নলিখিত আইনগুরোর সংশোধন প্রয়োজন: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, মেডিকেল শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন আইন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল আইন, তামাক নিয়ন্ত্রন আইন, পৌর ও সিটি করপোরেশন আইন ইত্যাদি।