
—ছবি মুক্ত প্রভাত
সুবর্ণচর উপজেলা মৎস্য অফিসের অভিযানে ৩০ মণ জাটকা জব্দ করা হয়েছে। পরে এতিমখানায় এসব জাটকা ইলিশ মাছ বিতরণ উপজেলা মৎস্য অফিস।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ৪নং স্টীমার ঘাট চরজব্বর পুশিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন চরমজিদ ভূইয়ারহাট বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করে এসব জাটকা জব্দ করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, সরকার প্রতি বছর পহেলা নভেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ সময়ে জাটকা নিধন, বিক্রি, সংরক্ষণ, পরিবহন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
কিন্তু বেশি লাভের আশায় এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী গরিব জেলেদের লোভ দেখিয়ে দাদন দিয়ে গভীর সাগরে মাছ শিকারে পাঠাই। দাদনের ঋণ শোধ করতে জেলেরা এ সময় জাটকা ইলিশ নিধন করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাতে চরবাটা ইউনিয়নের ভূঞারহাট বাজার ও খাসের হাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ৩০ মণ জাটকা জব্দ করে উপজেলা মৎস্য অফিস। পরবর্তীতে মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফয়জুর রহমান তা পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুবর্ণচর মো. ফয়জুর রহমান প্রতিদেককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বিশাল জাটকার চালান জব্দ করা হয়। পরে মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এই মাছ বড় হলে জেলে-ব্যবসায়ী সবার ভালো হবে কিন্তু সামান্য লোভে পড়ে জাটকা নিধন করা করে অসাধু চক্রটি রাষ্ট্রের অনেক বড় ক্ষতি সাধন করছে।
ফয়জুর রহমান আরও বলেন, ছোট ছোট মাছগুলো বাজারে ২০০/২৫০ টাকায় কেজি বিক্রয় করা হয়।
এগুলো ৬০০ গ্রাম হলে তার বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকার অধিক হতো। কিন্তু গরীব জেলেদের লোভ দেখিয়ে এসব মাছ শিকার করানো হয়। এতে করে জেলেরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করছে। আমাদের সবার সচেতন ও সতর্ক থাকা উচিত। জনস্বার্থে এমন জাটকা নিধনবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা। অভিযানে চরজব্বর থানা পুলিশের একটি টিম, মৎস্য অফিসের সদস্যরা সার্বিকভাবে সহায়তা করেন।