
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুরে বাড়ির ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দিত কৃত্রিম চিড়িয়াখানা,মিনি শিশুপার্ক ও যাদুঘর। এই চিড়িয়াখানা ও যাদুঘরে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা।
সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ায় আশপাশের প্রায় ৫০টি গ্রাম থেকে দর্শনার্থীরা আসেন এখানে। প্রতিদিন এই বিনাদন কেন্দ্রটি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৩ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে।
জানা গেছে,কাশিনাথপুর এলাকার জহির হোসেন নামের ব্যবসায়ী ২০২০ সালে কাশিনাথপুর বাজারস্থ পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের পাশেই তার নিজ মার্কেটের তৃতীয় তলায় এই চিড়িয়াখানা,মিনি শিশুপার্ক ও দ্বিতীয় তলায় যাদুঘরটি নির্মাণ করেন।
এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে বানর,লইল,বেজি,কাঠবিড়ালি,খরগোসসহ বেশকিছু প্রাণী।এখানকার সব কিছুই কৃত্রিম। বাঘ,সিংহ,হরিণ,উট,হাঙ্গর, শিয়াল,ময়ূর,পঙ্গুইন,পেঁচা, ডলফিনার,ঈগল,পরী,গন্ডার, শিম্পাঞ্জী, হাতি. ঘোড়া,জেব্রাসহ নানা প্রাণীর ভাস্কর্য রয়েছে এখানে।
শিশু কিশোরদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রাইড। অপরদিকে যাদুঘরে রয়েছে হারিয়ে যাওয়া কৃষি ও গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী কোদাল,কাস্তে,লাঙ্গল,দা,শিল, পাটা,কলের গান,হুক্কা,ক্যাসেট,রেডিও,মাথাল,গাছ কাটার করাত,দুধ মাপার বাঁশের চাঙ্গা,হ্যাজাক, লাঙ্গল, একতারা,কাঠের তৈরি পায়ের খরম, ঝাঁকা,চাল মাপার কাঠা,বাঁশের তৈরি গরুর টুনা প্রভৃতি।কাশিনাথপুর বাজারের দোকানদার কাজলের কাছে শিশুপার্ক ও যাদুঘরটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জহির ভাই একজন সৌখিন ও ভাল মনের মানুষ।
অনেক কষ্ট করে তিনি বাচ্চাদের বিনাদনের জন্য শিশুপার্ক ও যাদুঘরটি তৈরি করেছেন। ছুটির দিন আশপাশের ও দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ বাচ্চাদের নিয়ে এখানে ঘুরতে আসেন।দর্শনার্থী জানিক শেখ বলেন, আমার ছোট ছেলেমেয়ে অন্যদের কাছে শুনে বায়না ধরেছে, কাশিনাথপুর পার্কে ঘুরতে যাব।
তাই ওদের নিয়ে আজ ছুটির দিন ঘুরতে এসেছি। অল্প জায়গার মধ্যে খুব সু্ন্দরভাবে সাজানো হয়েছে পার্কটি। কৃত্রিম এই চিড়িয়াখানা,মিনি শিশুপার্ক ও যাদুঘরটি দেখতে কোন টাকা-পয়সা লাগে না।
শিশু কিশোরদের মানসিক বিকাশে এটা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।পার্কের মালিক জহির হোসেন জানান,শিশু-কিশোরদের বিনোদনের পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতে আমার সামান্য এ আয়োজন মাত্র। ভবিষ্যতে এটাকে আরও বড় আকার করার চিন্তা রয়েছে।