
—ছবি মুক্ত প্রভাত
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ জনবল, ঔষধ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ বহুপদ শূণ্য থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী।
যারা কর্মরত আছেন প্রতিদিন রোগীর চাপ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। জটিল সমস্যা নিয়ে আসা রোগী পাঠিয়ে দেওয়া হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
৩১ শয্যার চিলমারী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১২/০৬/২০০৪ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা করা। শয্যা সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি জনবল। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ ১৪২টি পদ রয়েছে।
এর মধ্যে ৫৫টি পদ শূণ্য। মেডিকেল অফিসারের ১৯টি পদের মধ্যে ১৫টি পদ শূণ্য। ১০টি কনসালট্যান্ট পদের মধ্যে আছে মাত্র ১জন এবং সহকারী সার্জনের পদ সংখ্যা ৫টি সবগুলো শূণ্য।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদের সংখ্যা ৮টি এর মধ্যে রয়েছে ৪জন বাকী পদ ১২ বছর ধরে শূণ্য রয়েছে। সরেজমিনে গতকাল রবিবার গিয়ে দেখা যায় আউটডোরে অনেকে টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে আছেন। চিকিৎসক না থাকার কারণে দীর্ঘ হচ্ছে রোগীল লাইন। বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে এসে ফিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
শয্যা স্বল্পতার কারণে প্রতিদিনই রোগীদের চিকিৎসা নিতে হয় মেঝেতে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রাজারভিটা এলাকাল মুসা মিয়া জানান, পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় প্রতিদিন সেবা দিচ্ছেন ডিপ্লোমাধারীরা।
হাতে গনা কয়েক ধরণের ঔষধ ছাড়া এখানে মিলছে না কিছুই। গাবের তল এলাকা থেকে আসা আকরামুল হক জানান, দুই দিন টিকিট কেটেও আমি ডাক্তার দেখাতে পারিনি এবং হাসপাতালের অভ্যন্তরে ময়লা আবর্জনায় ভরপুর।
মনে হয় যেন দেখার কেউ নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোঃ আবু রায়হান জানান, বহি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে তিনশত রোগিকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। আন্তবিভাগে দৈনিক ষাট জনের বেশি রোগী সেবা নিচ্ছেন।
এছাড়া জরুরী বিভাগে ৪০-৫০ জন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। চিকিৎসকসহ অন্যান্য শূণ্য পদে জনবল নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, জনবল সংকট নিরসন হলে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নত হবে এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ এর চাহিদা পাঠানো হয়েছে।