
—ছবি মুক্ত প্রভাত
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শ্রমিকদল নেতা ও তার লোকজন পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে চাঁদাবাজী মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।
শ্রমিকদল নেতার হামলায় আহতরা হলেন, থানার এসআই হারুনর রশিদ সরদার (৪৭), কনস্টেবল মোজাফ্ফর রহমান (৫৮) ও আয়নুল হক (৪০)। আহতদের ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার (১২এপ্রিল) দুপুরে থানার এসআই হারুনর রশিদ সরদার বাদি হয়ে শ্রমিকদল নেতাসহ ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার আসামি উপজেলা সদরের চরধুনট গ্রামের বুইদা প্রামানিকের ছেলে পৌর শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ (৪০) ও আব্দুল মজিদ প্রামানিকের ছেলে শ্রমিকদল নেতার জামাই মহা আলম জীবনকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চরধুনট গ্রামের ব্যবসায়ী রতন কুমার নিজস্ব জায়গার নতুন বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেন। এ অবস্থায় ৮ এপ্রিল মহা আলম জীবন ও তার লোকজন রতন কুমারের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা করে।
কিন্ত চাঁদার টাকা না পেয়ে ১০ এপ্রিল রাতে তারা নির্মানাধীন বাড়ি গুড়িয়ে দিয়ে নির্মান সামগ্রী নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রতন কুমার বাদি হয়ে ১১ এপ্রিল রাতে মামলা দায়ের করে।
ওই মামলায় মহা আলম জীবনসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ ওই রাত প্রায় ১২টায় অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহা আলম জীবনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় শ্রমিকদল নেতা আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।
সংবাদ পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রেফতারকৃত আসামিসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আসামি মহা আলম জীবনকে থানায় নেওয়ার পর তার শ্বশুর শ্রমিকদল নেতা আব্দুল মজিদ দ্বিতীয় দফায় পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ থানা চত্বর থেকে শ্রমিকদল নেতা আব্দুল মজিদকে আটক করে।
এ ঘটনায় থানার এসআই হারুনর রশিদ বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদল নেতা আব্দুল মজিদ ও তার জামাই মহা আলম জীবন সহ ১১জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত আরো ৮/১০জনকে আসামি করা হয়েছে।
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।