
—ছবি মুক্ত প্রভাত
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মহিলা দর্শানার্থীর ছবি মোবাইলে ধারণ করাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহষ্পতিবার সকালের এ ঘটনায় টেটাবিদ্ধ বস্তাবন্দি একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৫ এপ্রিল চিলমারীর সীমান্তবর্তি দুই থানার মোড় এলাকার মা এবং মেয়ে চিলমারী-হরিপুর তিস্তা সেতু দেখতে গেলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের মোড় এলাকার বিজয়, পাভেল ও সুমননামে দুই বখাটে গোপনে ছবি মোবাইলে ধারণ করাসহ তাদের উত্যক্ত করে।
এ ঘটনায় মা বাঁধা দিতে গেলে ওই তিন বখাটের সাথে বাক-বিতন্ডা হয়। এ সময় রমনা ইউনিয়নের ডাঙ্গার চর এলাকার সাজু ও মোতালেব নামে দুই যুবক এগিয়ে গেলে তাদের উপরও তিন বখাটে চড়াও হয়। এর এক পর্যায়ে খাটেরা ওই দুই যুবকদের মারধর করে।
পরে স্থানীয়রা দু’পক্ষকে মিমাংসা করে দিলেও এর পর দিন ৬ এপ্রিল চিলমারী উপজেলার যেকোন গাড়ি ও মানুষকে শহরের মোড় এলাকায় দেখলে মারধর ও অটোরিস্কা আটকে রাখার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে চিলমারী উপজেলার দুই থানার মোড় ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা শহরের মোড় এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরই জের ধরে ১০ এপ্রিল সকালে রমনা ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়খড়িয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক ভুট্টা খেত দেখতে গেলে শহরের মোড় এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি মিলে তাকে বেধরক মারধরের পর বস্তাবন্দি করে পাশর্^বর্তি ধান খেতে রেখে যায়।
খবর পেয়ে চিলমারী উপজেলার দুই থানার মোড় এলাকা লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আলমগীরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
রমনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আলমগীরকে টেটা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মক জখম করা হয়েছে। তার দুটি দাত ভেঙ্গে গেছে।
এ ঘটনায় চিলমারী উপজেলার দুই থানার মোড় এলাকার লোকজনও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শহরে মোড় এলাকার মানুষজন দেশীয় অস্ত্র হাতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়াপাল্টা ধাওয়া অংশ নেয়।
পরে খবর পেয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক, চিলমারী থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।