
—ছবি মুক্ত প্রভাত
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভদ্বেশরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ঘেষেঁ একটি বড় পুকুর খনন করা হচ্ছে। পুকুরটি হঠাৎ খনন করার কারণে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বেশ আতংকে রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলাচলের মূল রাস্তার পাশেই নতুন করে প্রায় এক একর জমি জুড়ে বিশাল গর্ত করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। পুকুরটির পশ্চিম অংশ সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা ঘেষে পূর্ব অংশ বিদ্যালয়টির মাঠ ঘেষেঁ পুকুরটি খনন করা হচ্ছে।পুকুর খনন করতে গিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠের জমি অনেকটা ধসে গেছে পুকুরের পাড়ের সাথে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের মাঠটি বেশ ঝুকিতে রয়েছে যে কোন মূহুর্তে ধসে যাওয়ার।
এদিকে বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে পুকুরের খনন গভীরতা প্রায় ২০ফিট। সেখানে পানিও জমাট রয়েছে। মাঠটিও বেশ ছোট প্রকৃতির। ফুটবল কিংবা অন্য যে কোন খেলা ওই মাঠে বেশ বিপদজনক। অভিভাবকরা বলছেন, যেভাবে পুকুরটি খনন করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ছোট শিশুরা যে কোন মূহুর্তে দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে। অনেক অভিভাবক এ কারণে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আপাতত পাঠাচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়ের মাঠের নিরাপত্তা না পাওয়া গেলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী না পাঠানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। তাই অতি দ্রুত মাঠটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, পুকুরটি ওয়ারিসের সম্পত্তি এ কারণে প্রায় ১০ জনের অধিক মিলে খন্ড খন্ড করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। পুকুরটি খনন বিষয় নিয়ে পুকুরের জমির মালিক মোহাম্মদ আলী,কামরুল জবেদ আলীসহ অনেকের সাথে কথা বলতে চাইলেও তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
বিদ্যালেয়র প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ফেন্সি বেগম বলেন,রমজান মাসে বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে এখানকার জমির মালিকেরা এ পুকুরটি খনন শুরু করে। বাধা দিলেও তারা মানেনি। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে এ পুকুর খনন আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। পুকুরটির কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন।