
—ছবি সংগৃহিত
বিরল পাখিটি কাস্তে হাঁস। অবশ্য এ নামটি পশ্চিমবঙ্গে প্রচলিত। ডানার প্রান্তে থাকা কাস্তের মতো বাঁকানো চোখজুড়ানো পালকগুলোর জন্যই এই নাম। এদেশে এটি ফুল্লুরি বা শিখাযুক্ত হাঁস নামে পরিচিত। গোত্র অ্যানাটিডি ও বৈজ্ঞানিক নাম গধৎবপধ ভধষপধঃধ । সাইবেরিয়ার পূর্বাঞ্চল এবং মঙ্গোলিয়া থেকে জাপানের উত্তরাঞ্চল পর্যন্ত এদের বসবাস। শীতে দক্ষিণ ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ায় পরিযায়ী হয়।
লম্বায় হাঁসটি ৪৬ থেকে ৫৩ সেন্টিমিটার। ওজনে ৫৮৫ থেকে ৭১৩ গ্রাম। হাঁসা ও হাঁসির পালকের রঙে পার্থক্য থাকে। প্রজননকালে হাঁসার মাথা গাঢ় সবুজ। সাদা গলায় গাঢ় সবুজ গলাবন্ধ। বুকে সাদা-কালো নকশা। লেজতল হলুদ ও কালো। চোখ গাঢ় বাদামি। চঞ্চু, পা ও পায়ের পাতা কালো। অন্যদিকে হাঁসির মাথা ধূসর। দেহে সাদা ও বাদামি ডোরা। হাঁসার মতো হাঁসির ডানায় কাস্তে পালক নেই।
শীতে ওরা সিলেট বিভাগের হাওরাঞ্চল, পদ্মা নদী, ব্রহ্মপুত্র নদ, মেঘনা নদীর মোহনাসহ বড় নদীতে বিচরণ করে। সচরাচর একাকী, জোড়ায় বা অন্যান্য হাঁসের ঝাঁকে থাকে। অগভীর পানিতে চঞ্চু ডুবিয়ে জলজ আগাছা ও পোকামাকড় খায়। সচরাচর নীরব থাকলেও প্রজননকালে সাঁতার কাটার সময় মুরগির মতো ডাকে ও ওড়ার সময় শিস দেয়।