
বড় বাজেটে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
এবারের বাজেটে সাংসারিক খরচ বাড়বে সবচেয়ে বেশী। চোখে অন্ধকার দেখবে নিম্ন আয়ের মানুষ। বেগ পেতে হবে তিনগুন। প্রতিনিয়ত যেমন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তেমনি বাজেটের ওপর হুরহুর করে বাড়বে জিনিসপত্রের দাম। বাজেট পরবর্ী সময়ের পর বিভিন্ন বাজারে পড়বে এর প্রভাব।
যুগোপযোগি প্রস্তাবিত বাজেট হলেও বেশীভাগ ক্ষেত্রেই এর মাসুল দিতে হবে সাধারন মানুষকে। কেননা যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে কিংবা বাড়বে সে হিসাবে মজুরী বাড়ে নি। বিশেষ করে বেসরকারি ৩য়, ৪র্থ শ্রেণির চাকুরিজীবির মাসিক বেতন ও দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের আয়ের পরিমান বাড়ে নি। বরং দিনের পর দিন বেড়েছে ব্যয়ের পরিমান। যার জন্য বেশীভাগ ভুগতে হবে দেশের সাধারন আম জনতাকে।
অর্থমন্ত্রী আ হ,ম মুস্তাফা কামাল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নিমিত্তে এক চালেঞ্জিং বাজেট পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট সংসদে উত্থাপিত হবে। যেখানে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ কোটি টাকার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে তিনি এ বাজেট নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী।
এ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ককর বা ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে পড়ালেখার কলম থেকে শুরু করে ফেসিয়াল টিস্যু, টয়লেট টিস্যু, সিমেন্ট, কাজু বাদাম, বাসমতি চাল, চশমা, মাইক্রোওয়েব ওভেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, প্লাস্টিকের পাত্র, অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, সিগারেট, জর্দা-গুল, খেজুর, বিদেশি টাইলস ও মোবাইল ফোনসহ বেশকিছু নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কেননা বড় অঙ্কের রাজস্ব আদায়ের জন্য এসব প্রসাধনী পন্য ও নিত্য পণের ওপর রাজস্ব বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
প্রস্তাবিত অর্থবছরের বাজেটে সার, বিদ্যুৎ ও গ্যাস খাতে ভর্তুকি বাবদ বাড়তি বরাদ্দ রাখা হতে পারে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল।
পরবর্তীকালে সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা করা হয়। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এসব খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে।