
—ছবি সংগৃহিত
মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। আজ শুক্রবার দেশটিতে পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে। এই দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
মিয়ানমারে উৎপত্তি হয়ে ভূমিকম্পটি প্রভাব ফেলেছে ভারত,বাংলাদেশ, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে। এই ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন ১৪৪ জন। এছাড়া ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে থাইল্যান্ড। থাইল্যান্ডের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছে শতাধিক মানুষ।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরেও মিয়ানমারে এত মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই। এর প্রভাবে আজ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েক দফায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর পরাঞাত বা আফটার শক আরও হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের মান্দালয়। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ১০ কিলোমিটার গভীরে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশকি ৩। তবে ভূমিকম্পের এই মাত্রা বেশ বড় বলেই বিবেচিত হয়।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের পাশের দেশ মিয়ানমারের মান্দালয়। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৫৯৭ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, মিয়ানমারের সেন্ট্রাল বেসিনের একটি ফল্ট বা চ্যুতি আছে। এর নাম ‘সাগাইং ফল্ট’। এটি শান মালভূমি ও সেন্ট্রাল মিয়ানমার বেসিনের মাঝিামাছি এলাকা। সেখনেই এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। এলাকাটি ভূমিকম্পপ্রবণ। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
যে অঞ্চলে ভূমিপক্ম হয়েছে, সেটি ‘ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোনের’ মধ্যে পড়েছে। সাবডাকশন জোন হলো এমন একটি এলাকা, সেখানে দুটো টেকটোনিক প্লেট সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং একটি ডুব দেয বা অন্যাটির নিচে পড়ে যায়। এই ‘ইন্দো-বার্মা সাবডাকশন জোনের’ বিস্তৃতি বাংলাদেশর দক্ষিণ-পূর্ব এলাকা পর্যন্ত। এটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।