
—ছবি মুক্ত প্রভাত
ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামতে ২৫ তারিখের অপেক্ষামাত্র। তবে ভারত যে বাংলাদেশকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে নিয়েছে, তা স্পটতই বোঝা যাচ্ছে। ভয়ও পাচ্ছে। পাওয়ারই কথা। কারণ বাংলাদেশ দলে এখন যোগ হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের খেলোয়ার হামজা চৌধুরী।
আর এ কারণেই ভারত মাঠের বাইরেও বাংলাদেশকে অনুশীলন করতে বাধাগ্রস্ত করছে। শুক্রবার বাংলাদেশ দল চেয়েছিল ম্যাচ ভেন্যু জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে।
কিন্তু অনুমতি মেলেনি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের। নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি পাওয়া যাবে মূলত ম্যাচের আগের দিন। অগত্যা বাংলাদেশ দলকে অনুশীলনে পাঠানো হয় শহরের নর্থ ইস্টার্ন হিলস বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ। মাঠটি ভালো নয় বলে নাখোশ বাংলাদেশি কোচ কাবরেরা।
গতকাল নেহরু স্টেডিয়ামেই অনুশীলন হয়েছে। তবে মূল মাঠে নয়, গ্রাউন্ড টু টার্ফ মাঠে। অথচ পাশের মূল মাঠে স্বাগতিক ভারত অনুশীলন করে যাচ্ছে টানা। আয়োজক হওয়ায় বাড়তি সুবিধা ষোলো আনাই নেবে ভারত। এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই।
কিন্তু বাংলাদেশ দলকে ভারতে এসে এক রকম যুদ্ধই করতে হচ্ছে অনুশীলনের সময়, মাঠ ইত্যাদি নিয়ে। বৈরী একটা পরিবেশে পড়েছেন বলে দাবি করছে গোটা দল।
তবে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান এতে দারুণ ক্ষুদ্ধ। আয়োজকদের তরফে কোনো সহযোগিতা বাংলাদেশ দল পাচ্ছে না বলে তার অভিযোগ। তিনি বলছে, ‘আমাদের ভালো মাঠ দেওয়া হচ্ছে না। আজ (কাল) অনুশীলনের সময় ছিল সাড়ে পাঁচটা। কিন্তু তারা তখনো মাঠ দেয়নি। এখন সাড়ে সাতটায় যুদ্ধ করে নিতে হয়েছে মাঠ। তা-ও টাকা দিতে হবে।’