
—ছবি মুক্ত প্রভাত
গতকাল (১৬ মার্চ)শয়তানের নি:শ্বাষে বশীভুত করে ফিল্মী কায়দায় নাসিরনগরে ১ মোবাইল ব্যাবসায়ীকে অপহরন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবী। অপহরনের ১২ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই মুক্তির জন্য পরিবারের কাছে দাবী করা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা না হলে মেরে ফেলার হুমকি।
নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক চৌধুরী পাড়ার মাছ ব্যাবসায়ী রামু দাসের একমাত্র ছেলে নয়ন দাস(২০) মোবাইলের ব্যাবসা করেন ফান্দাউক বাজারে, তার দোকানের নাম তিশা টেলিকম। ১৬ মার্চ সকাল ৯.০০ দিকে অপরিচিত নাম্বার থেকে নয়নকে মোবাইলে কল দিয়ে বলে আপনি দোকানে আসেন আমরা মোবাইল কিনতে এসেছি। সকাল প্রায় ৯.৩০ সময়ে নয়ন দোকানের তালা খুলা অবস্থায় ২ জন অপরিচিত লোক এসে বলে ” আপনি কি নয়ণ দাস ?“। নয়ন বলে হ্যা আমি নয়ন ।
তখন ২জন অপরিচিতের ১জন নয়নের কাছে এসে তার নাক ও চোখের কাছাকাছি মোবাইলে ১টি ছবি দেখিয়ে বলেন ”দেখেনতো তাকে চিনেন কিনা?”। এরপর নয়ন আর কোন অনিহা বা প্রতিবাদ না করে তাদের পিছু পিছু হেটে গিয়ে দাড়িয়ে থাকা মাইক্রোবাসে উঠে পড়ে।
মাইক্রোবাসটি তাকে নিয়ে দ্রুতবেগে চলে যায় এলাকা ছেড়ে । কিছুক্ষনের মধ্যেই বাজারে আলোচনা শুরু হয়ে যায় নয়নকে ধরে নিয়ে গেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনী । খবর পেয়ে হতবিহ্বল হয়ে পড়ে নয়নের পরিবার । খোজ নেয়ার চেষ্টা শুরু করে পাড়া প্রতিবেশী,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ্ব ও আত্বীয়স্বজন মিলে ।
৭ নং ফান্দাউক ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো: জাকারিয়া’কে সাথে নিয়ে পরিবারের লোকজন সারাদিন ব্যাপী নাসিরনগর থানা, লাখাই থানা, মাধবপুর থানা ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আইনশৃখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন বিভাগে যোগাযোগ করেও কোন খোজ না পেয়ে উৎকন্ঠা বাড়তে থাকে তাদের মাঝে।পরিবারে শুরু হয়ে যায় কান্নাকাটি।
রাত প্রায় ৯.০০ দিকে একটি অপরিচিত মোবাইল নাম্বার(০১৭৩২১১৪৯৩৪) কল করা হয় নয়নের মায়ের কাছে ,দাবী করা হয় ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপন ।, হুমকি দেয়া হয় যদি জানানো হয় পুলিশ অথবা সাংবাদিককে তবে মেরে ফেলা হবে নয়নকে। বলা হয়েছে আগামীকাল সকাল ১০.০০ টায় আবার কল করা হবে তাকে ।
এ ব্যাপারে সিসিটিভির ফুটেজ সমেত ১টি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে নাসিরনসগর থানায় । গতকাল রাতে এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নাসিরনগর থানার ডিউটি অফিসার মো: কুদ্দুছ আলী এ প্রতিবেদককে জনান, নয়নের পরিবার থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এসআই মন্তাজ বিষয়টি দেখছেন।
এসআই মন্তাজ জানান, আমি খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, যা থেকে অপহরনে ব্যাবহৃত গাড়ির নাম্বর ও অপহরনকারীদের ছবি সংগ্রহ সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে ।