
—ছবি সংগৃহিত
সবশেষ মাঠ থেকে অবসর নিয়েছেন মোহাম্মদ রফিক। ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক।
দেড় যুগ ধরে সেটিই হয়ে থেকেছে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সবশেষ ঘটনা।
গতকাল রঙিন জার্সিকে বিদায় বলছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার এই বিদায়ে ভক্ত শুভাকাঙ্খিরা নানা ধরণের পোষ্ট করছেন ফেসবুক পেজে।
কেউ লিখছেন ‘লিজেন্ড’ কেউ লিখছেন ‘মিস করব’। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেওয়া মাহমুদউল্লাহকে তার অবদানের জন্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানিয়েছেন জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক সতীর্থদের অনেকেই।
জাতীয় দলে মাহমুদউল্লাহকে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে পাওয়া তাওহিদ হৃদয় জানিয়েছেন শুভকামনা।
হৃদয়ের সেই শুভকামনা বার্তায় উঠে এসেছে ‘পেইন কিলার’ প্রসঙ্গ। তাওহিদ হৃদয় জাতীয় দলে পা রেখেছেন ২০২৩ সালে। মাহমুদউল্লাহর অবসর ঘোষণার পর পেসবুক পোস্টে হৃদয় লিখেছেন ‘ছোটবেলায় টিভির সামনে বসে দেখা প্রত্যেকটা ব্রিলিয়ান্ট মুহূর্তের জন্য ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই। সবাই আপনাকে সাইলেন্ট কিলার ডাকলেও, আমাদের বন্ধুমহলে আপনার নাম ছিল ‘পেইন কিলার’। এমন অনেক ম্যাচ আছে যেগুলো শেষ মুহূর্তের রিলিফ আপনার থেকে উপহার পেয়েছি।’
তাওহিদ হৃদয়ের কথায় স্পষ্ট, ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ দলকে সংগ্রাম করতে দেখাটা দর্শক হিসেবে হৃদয়ের জন্য ছিল ‘পেইন’, যেখান থেকে দলকে উদ্ধার করে স্বস্তি এনে দিতেন মাহমুদউল্লাহ।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ছোট ছোট ইনিংস খেলে দলকে বিপদ থেকে বাঁচিয়েও ব্যাপকভাবে আলোচিত না হওয়ায় মাহমুদউল্লাহকে অনেকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ নামে ডাকতেন।
তবে হৃদয়ের সংজ্ঞায় ‘সাইলেন্ট কিলার’ মাহমুদউল্লাহ আসলে ‘পেইন-কিলার’।