
—ছবি মুক্ত প্রভাত
মাগুরার সেই শিশুটির মৃত্যুর পর ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে মাগুরা পৌর এলাকায় আসামিদের বাড়িতে প্রথমে ভাঙচুর করা হয়। পরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাড়িতে আগুন জ্বলছিল।
এর আগে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে শিশুটির মরদেহ মাগুরার স্টেডিয়ামে পৌঁছে। এরপর শরের নোমানী ময়দানে শিশুটির প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজের পরপরই আসামিদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেন স্থানীয় লোকজন।
শিশুটির বাড়ি জেলার শ্রীপুর উপজেলার একটি গ্রামে। সেখানে রাত ৮টা ২০ মিনিটে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। ওই গ্রামের কবরস্থানে শিশুটিকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
এর আগে কয়েকদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরে আজ দুপুর ১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিউতে শিশুটি মারা যায়।
সিএমএইচ এর পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। সুসঙ্গে শিশুটির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অধ্যাপক কন্ঠে নাজমুল হামিদ বলেন, আজ সকালবেলা দুই দফা শিশুটির কাজ অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসতে আধা ঘন্টা সময় লাগে। কিন্তু দুপুর বারোটায় তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি। পরে দুপুর একটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সেনাবাহিনী বিবৃতিতে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি আজ দুপুর একটায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সি এম এইচ এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কেন তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটি আজ সকালে কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়েছে। দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর স্পন্দন ফিরে আসেনি। গত ৮ মাস শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে মাগুরায় বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। এই ঘটনায় শিশুটি মায়ের দায়ের করা মামলায় ভগ্নিপতি ও ভগ্নিপতির পিতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।