
—ছবি সংগৃহিত
দুবাইয়ে বাংলাদেশ হেরেছে ভারতের কাছে আর রওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে। দুটি হারের পর শূণ্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে শান্ত বাহিনীকে। এই আসরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কেবল পেসারদের ভালো বোলিং আর ভারতে বিপক্ষে তাওহিদ হৃদয়ের সেঞ্চুরি। বাকি আর কিছু নেই।
আপনি যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নজর করে দেখেন তাহলে দেখবেন আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয় আর শেষ চারে ঠিকে থাকার গল্প দেখতে পারেবন।
ম্যাচটাকে যদি চমক বললে কম বলা হবে। সত্যি কী আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা ম্যাচটি হয়ে গেল? হয়তো হতেও পারে। যে দুটি দলের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলো লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সেই দুটি দল ইংল্যান্ড আর আফগানিস্তান।
সহজ সমীকরণে ইংল্যান্ডের কাছে হয়তো সহজ হারের কথাই ছিল আফগানিস্তানের। কিন্তু তা কী হয়েছে। উত্তরটা হলো না। ইংল্যান্ড আফগানিস্তানের কাছে করুণভাবে হেরেছে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির অন্যতম সেরা ম্যচ হয়ে থাকবে এই ম্যাচটি। শেষ বল পর্যন্ত ইংল্যান্ড খেলেও আফগানিস্তানের সাথে জিততে পারেনি।
আগে ব্যাট করতে নেমে ইব্রাহিম জাদরানের রেকর্ড ১৭৭ রানে ভর করে ইংল্যান্ডকে ৩২৫ রানের বড় লক্ষ্য দিয়েছিল আফগানিস্তান। জবাবে শেষ বল খেলে ১০ উইকেটে ৩১৭ রান করেছে ইংল্যান্ড। জো রুটও অবশ্য দুর্দান্ত সেঞ্চুরী করেছেন।
টানা দ্বিতীয় হারে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নিলেও স্মরণীয় জয়ে শেষ চারে টিকে রইল আফগানিস্তান।
এর আগে বেন ডাকেট রেকর্ডটা লিখেছিলেন চার দিন আগেই। ২১ বছরের পুরোনো ওই রেকর্ড ভেঙে ছিলেন ডাকেট। কিন্তু সেই রেকর্ড তিনি চার দিনও ধরে রাখতে পারেন নি।
দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ডাকেটের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড লিখেছেন আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান।
রেকর্ডটা হলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক হয়ে গেলেন তিনি। আজ জাদরানের এই রেকর্ডের সাথে লেখা থাকলো ক্রিকেট পরাশক্তি ইংল্যান্ডের নামও। কারণ ১৭৭ রানের ব্যক্তিগত সংগ্রহ জাদরান আজ করেছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই।
শুধু যে ডকেটের রেকর্ডটাই ভেঙে ফেলা হয়েছে তা নয়। একই সঙ্গে ইংল্যান্ডকে জাত শিক্ষা দিয়েছে জাদরানের আফগানিস্তান। শক্তির বিচারে যদি বলা যায় তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ডের তুলানায় শক্তির দিক থেকে বহুগুণ পিছিয়ে আছে আফগানরা। তবুও আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে আফগানিস্তান করেছে ৩২৫ রান।
এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শেষ না হলেও শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের যাত্রা। এই দুই দলের প্রাপ্তি তেমন কিছু নেই। বৃষ্টির কারণে রাওয়ালপিন্ডিতে আজকের ম্যাচ পরিত্যাক্ত হওয়ায় ১ পয়েন্ট করে পেয়েছে দুই দল। আপতত সেটা নিয়েই কাল দেশে ফিরবে বাংলাদেশ আর দেশে দর্শক হয়ে খেলা দেখবে পাকিস্তান।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো এতো বড় টুর্ণামেন্টে ১ পয়েন্ট তেমন কোনো বিশেষত্ব তো বহন করেই না বরং ভক্তদের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
বৃষ্টিতে ভাসিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে রাওয়ালপিন্ডি পর্ব। এর আগে এখানে পরিত্যাক্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচও। এখানে হয়েছে শুধু বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটাই।
আফগানিস্তান ঠিকাই আসরের শেষ চারে টিকে রইল। অথচ বাংলাদেশ কোনো ম্যাচ না জিতে শূণ্য হাতে ফিরছে। বাংলাদেশ কবে নাগাদ ‘আফগানিস্তান’ হতে পারবে?