
—ছবি সংগৃহিত
৩০ বছরের বেশী সময় কারাবন্দী হয়ে আছে ইসরাইলের জেলখনায়। আজ ২৭ ফ্রেব্রুয়ারী ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি বিনিময়ের দিন ছিল। এই দিনে বৃদ্ধ মায়ের ছেলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুক্তি মিলেনি বৃদ্ধার ছেলে।
নাজাত নামের বৃদ্ধা গাজার ধ্বংস স্তুপের রাস্তায় এসে ছেলের জন্য অপেক্ষা করছে। কখনো তার ছেলে মুক্তি পাবে আর এই রাস্তা দিয়ে তার কাছে ফিরে আসবে। ছেলে আসবে, ছেলেকে কি দিয়ে স্বাগত জানাবে তা নিয়ে আনন্দের সীমা থাকছে না বৃদ্ধ মায়ের।
গেল শনিবার ইসলায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ বিরতির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলী বন্দীদের বিনিময়ে যেসব ফিলিস্তিনি বন্দীদেরর ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল সেই তালিকা তার ছেলের নাম নাই। ছেলের নাম দিয়া। ১২ ঘন্টা ধরে গাজার ইউরোপিয়ান হাসপতালে বন্দী বিনিময়ের স্থানে অপেক্ষা করেন নাজাত। কিন্তু ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে ফেরত পাঠালে নাজাতের ছেলে দিয়াকে পাঠায়নি ইসরায়েল।
ছেলে আসবে না এই খবর শুনে মায়ের প্রাণে প্রায় প্রাণ ছিল না। বাস্তবতা মানতে তার খুব কষ্ট হচ্ছিল। নিজেকে কোনোভাবেই সামলাতে পারছিল না বৃদ্ধা মা নাজাত। নাজাতের বয়স ৫০ বছরের উপরে।
ছেলে আসবে বলে মা নিজেকে প্রস্তুত করছিল। কিভাবে যে তার মনকে বুঝাবে সে ভাষা খুজে পাচ্ছিল না। একবুক হতাশা নিয়ে তাকে ফিরে আসতে হয়েছিল। ১৯৯২ সালে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক কর্মকর্তাতে মারার কারণে তাকে কারাবন্দী করা হয়।