
-ছবি মুক্ত প্রভাত
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার কৃতি সন্তান শাহীন সিরাজ পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম জেলা জজ নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) তিনি পদোন্নতির চিঠি পেয়েছেন। বর্তমানে তার কর্মস্থল খাগড়াছড়িতে হলেও পদোন্নতির কারণে পরবর্তী কর্মস্থল চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত যোগদান করবেন বলে নিশ্চিত করেন দ্রুত।
শাহীন সিরাজ ছাত্র জীবন থেকে কর্মজীবনের সর্বস্তরে মেধার কৃতিত্ব ধরে রেখেছিলেন। তিনি শিক্ষা জীবনে চরমজিদ ভূঞাঁর হাট এম.এ কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া সম্পন্ন করেছেন।
এরপর চরবাটা খাসের হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি, ও সৈকত সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল-এল.বি (অনার্স), এল-এল.এম (ফাস্ট ক্লাস) সম্পন্ন করেন। এরপর ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগের লেকচারার হিসেবে যোগাদান করেন এবং ২০১৩ পর্যন্ত শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন। তারপর তিনি ২০০৯ সালে আইনজীবী হিসেবে সনদ প্রাপ্ত হন।
পরবর্তীতে তিনি ২০১৩ সালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় (বিজেএসসি) উত্তীর্ণ হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বিচারিক কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি কর্ম ও শিক্ষা জীবনে ELCOP, UNICEF, BELLA, ICRC আয়োজিত বিভিন্ন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়ারি একাডেমি (ভূপালে) ও মহারাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই সামাজিক -সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি সুবর্ণচর ছাত্র ফোরাম- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সুবর্ণচরের কৃতি সন্তান শাহীন সিরাজ চরবাটা ইউনিয়নের মধ্য চরবাটা গ্রামের হাজী মৌলভী ইদ্রিস মিয়ার বড় সন্তান হাজী মো ইউসুফ ও হাজেরা খানম দম্পতির কোল আলোকিত ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং তাঁর স্ত্রী সামিনা আক্তার রুমকি একজন আইনজীবী হিসেবে সনদপ্রাপ্ত হোন। অরণ্য ও আরাব নামে তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে।
বর্তমানে পেশাগত জীবনে তিনি সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ইতোমধ্য তিনি সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের বিভিন্ন জেলাতে।
জুড়িশিয়াল ম্যাজিট্রেট হিসেবে চাকুরি জীবনে তার কর্মস্থল ছিলো ঠাকুরগাঁও জেলা। পরবর্তী তিনি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী জেলাতে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এলাকার মানুষ কোনো আইনী জটিলতায় ঝামেলায় পড়লে তিনি নীতিগতভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করেন প্রতিনিয়ত।
তিনি একজন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন অল্প সময়ে। বেডমিন্টন, ক্রিকেট, ফুটবল ও বলিবলে অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে তার। তিনি সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন ন্যায় ও দক্ষতার সাথে নতুন দায়িত্ব পালনের জন্যে।