
চীনে শনাক্ত হলো নতুন করোনা ভাইরাস; আতঙ্কে চীনসহ বিশ্ব নেতারা
নতুন করে চীনে আবার করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এইচকেইউ-৫ (hku-5)নামের এই ভাইরাসের সঙ্গে মহামারি করোনা ভাইরাসের বেশ মিল রয়েছে। দুই বছর আগে শেষ হওয়া কোভিডের পর আরেকটি মহামারির কবলে পড়তে বিশ্ব। এতে করে দেশজুড়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে চীন সহ বিভিন্ন দেশের প্রধানরও পড়েছেন রীতিমতো আশঙ্কায়।
‘ইনস্টিটিউ অব ভাইরালজি’চীনের উহানের একটি শহরের ল্যাবে বাঁদুরের মধ্যে পেয়েছেন। নতুন স্টেনটির সঙ্গে মার্সের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। মার্স করোনা ভাইরাস বেশ শক্তিশালী ভাইরাস। এটির আক্রমনে ব্যক্তিদের চার ভাগের তিনভাগই মারা যায়।
সংক্রামকবিদ শি ঝেংলি এই নতুন করোনা ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছে। তিনি বৈজ্ঞানিক জার্নালে এই নতুন ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করেন বলে তাকে ‘ব্যাটওমেন’ নামে পরিচিত লাভ করেছে।
গবেষণা যা জানা যায়, এই নতুন ভাইরাসটি মানুষের কোষে এমনিভাবে প্রবেশ করে যেমনটি কোভিড-১৯ করত। সংক্রামকবিদ শি ঝেংলি বলেছেন- এই ভাইরাসটি মানুষের দেহে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
মার্স হলো শ্বাসযন্ত্রের একটি সংক্রামক রোগ। যা প্রাণী থেকে মানুষ এবং মানুষ থেকে মানুষে খুব দ্রুত মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে। করোনো ভাইরাসের যে সিনটম হয় যেমন জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও বমি হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রাণহানিও হয়। এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র দুইজন আক্রান্ত হয়েছে। ২০১৪ সালের মে মাসে এই ভাইরাস মধ্যপ্রাচ্যের দুইজন মানুষের মধ্যে দেখা যায়।
নতুন এইচকেইউ-৫ (hku-5) কোভ-২ ভাইরাসটি মারবোকভাইরাস পরিবারের একটি জীবাণু। এই ভাররাস পাওয়া গেছে মিঙ্ক এবং প্যাঙ্গোলিন নামের দুটির প্রাণীর মধ্যে। মনে করা হচ্ছে এই প্রাণীর মাধ্যমে বাঁদুর ও মানুষের মধ্যে ভাইরাসটি আসে। এই ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী প্রতিষেধক বা টিকা আবিষ্কার করতে পারেনি চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। সতর্কছাড়া কোনো কিছুই দিতে পারেনি তারা।